স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার
- আবু জাফর বিঃ ০৯-০৫-২০২৪

চৌগাছার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি স্বাধীনতার প্রবেশ দ্বার,
অকুতোভয় বাংলার জয় গর্জে উঠেছিল হাতিয়ার।
ট্রাঙ্ক বিমান যুদ্ধক্ষেত্র চৌগাছার জগনাথপুর গ্রাম,
স্বাধীনতার পরে চির স্মরণে; মুক্তিনগর তার নাম।
দুই পক্ষের সমুখ যুদ্ধে; দুইটি ট্রাঙ্ক হয়েছিল বিধ্বস্ত,
অবশেষে হাতাহাতি যুদ্ধ, ছিল না কোন আগ্নেয়াস্ত্র।
ট্রাঙ্ক বিমান গ্রেনেড মেশিনগান হানাদার বাহিনী সশস্ত্র,
মটার সেল এলএমজি রাইফেল ছিল কত আগ্নেয়াস্ত্র।

মুক্তিবাহিনীর হাতে নিড়ানি কৃষক সেজে অস্ত্র সেরে;
হায়েনা পাঞ্জাবী গ্রামে ঢুকতেই; দিয়েছে ধ্বংস করে।
জগনাথপুর আমবাগান ছিলো তুমুল যুদ্ধের ময়দান,
রাইফেলের বাটদিয়ে ভাঙে হানাদার বাহিনীর গর্দান।
হাতাহাতি ঘুসোঘুসি যখন যুদ্ধ করেছিল গুলি বিহীন;
বীর বাঙ্গালীর বাহুর বল; ওরা বুঝেছিলো সেই দিন!
চৌগাছার মুক্তিনগর দেশের অন্যতম ট্রাঙ্ক যুদ্ধক্ষেত্র!
৬ডিসেম্বর স্বাধীনতার সূর্যোদয় যশোর হয় শত্রুমুক্ত।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদের কবর চৌগাছার প্রান্তে,
স্বাধীনতার সূত্রপাত প্রথম রক্তপাত মাশিলা সীমান্তে।
কপোতাক্ষ ঘাট ডাকবাংলো মাঠ গণহত্যার ইতিহাস,
হানাদার বাহিনী করেছে সম্ভ্রমহানি, দেশের সর্বনাশ।
ছয়'ই ডিসেম্বর প্রথম স্বাধীন হয় আমাদের চৌগাছা,
যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা করবো শ্রদ্ধা, পূরণ হোক সব আশা।
বঙ্গবন্ধুর সহচর শহীদ মশিয়ূর রহমান চৌগাছার সন্তান,
এখানে বাবু বাড়ী, কুঠি বাড়ী, মেলে ঐতিহ্যের সন্ধান।
--------------

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।