ভয় ও লজ্জা
- রসময় গুপ্ত ২৭-০৪-২০২৪
তরিতরকারির মতোই দেহের বাজারে যারা নিজেদেরকে দাঁড়িপাল্লায় তোলে,
শেষ কবে তাঁরা টাটকা ছিল হয়তো ভুলে গেছে।
তাই বলে তাঁরা কিন্তু বাসি নয়।
প্রতিদিন অন্ধকার হিমাগার হতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে পার্কে, ওভার ব্রীজে, কিংবা সিনেমা হলের বারান্দায়।
উজ্জল কিন্তু সস্তা প্রসাধনীর আড়ালে সঙ সেজে, নিজেদের বুকফাটা আর্তনাদকে লুকিয়ে রাখে।
আলু পটলের মত দেহের দোকানে
কিছু খরিদদার শুধু দেখে ফিরে যায়,
কেউ কেউ ভাব জমিয়ে ফ্রিতে নেড়ে চেড়ে কেটে পড়ে।
কেউবা খরিদ করে নিয়ে যায় প্রাইভেট কোন ঘরে।
ঘন্টা মাপা এই দাম্পত্যেও নেই কোন শান্তি,
কৃপন খদ্দেরের সাথে দরকষাকষিতে খেতে হয়,
চড়-থাপ্পড় কিংবা তলপেটে লাথি।
হিমাগারে ক্লান্ত-শ্রান্ত তরিতরকারি গুলো ফিরে যাওয়ার সময় এদের চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে।
ব্যথায় নয়!
হিমগারে থেকে পুনরায় বিক্রি হওয়ার লজ্জা ও ভয়ে।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।