শপথের দুইভাগ
- দেবজ্যোতিকাজল ২৬-০৪-২০২৪

১ বিপর্ণ সূর্য , নষ্ট হলুদ , নির্জন ফুটপাত । মাঝে মাঝে বিশ্বস্ত মৃত্যু মেঘ হয়ে যায় । যা ছিল , তাই আছে শহর , গ্রাম উচ্ছল ক্লান্ত নির্জন স্বপ্ন , ডিমলাইট জ্যোস্না আমাদের টুকিটাকি চাওয়া-পাওয়া । ২ তবুও তো আগে উপসর্গ ছিল দক্ষিণ নদীর জানলায় ঘুমটা দেওয়া চাঁদ ছিল ছাপাশাড়ির গন্ধ , ঠাম্মার লম্বা কুমারী হাসি গোপন পৃথিবীর টানে জেগে উঠতো ; কত সঙ্গম শস্যপ্রয়াসী বটুয়ায় ভরে মুঠো মুঠো চাঁদিয়াল হাসির গোলা ভরত শৈশব , যৌবন বোঝত না যারা কতটা থাকলে দুধে-ভাতে হাসা যায় নিরাপদ ভালবাসায় সন্তান জন্মান যায় তারও প্রতিশ্রুতির স্থাপত্যে বিশ্বাস গাঁথত ৩ অতীত বিষ্টিতে যে নদী চিকন চুম্বনে শরীর ফোটাত তারও আজ হাহাকারের হাততালি পৌঁছে দেয় আদিম পিগম্যালিয়ানের কাছে । এখন চারদিকে শুনশান ঠোঁট ঘষে উড়ে যায় পাখি অপ্রকাশিত শাসক জ্ঞানশূন্য বাতাস মুখস্থ উনন্নয়নের দীর্ঘ ছায়াকাব্য প্রতীকি ধর্মনিরপেক্ষতা ঈশ্বর আল্লা শপথের শরীর ভাগ করে…… : বড় জোড় যা হল যার আসার কথা ছিল না সে আগমণের পথে রইল……

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।