পূর্ণিমা উৎসবে
- আল আমীন ২৬-০৪-২০২৪

শহুরে আকাশের ছাদে ষোলোকলা চান্দের রাত!
হেমন্তের শাদা শাড়ি দিয়ে বানানো গালিচায়
উৎসবে মেতেছে কয়েক শ’ পুরুষ এবং সুন্দরীগণ ।
নিভিয়ে দেয়া হয়েছে আশেপাশের সবগুলো বৈদ্যুতিক বাতি;
চাঁদ সুন্দরী আর মানবীয় সুন্দরের যাপিত আলোয়
বাজছে কেবল জ্যোস্নার বেহাগ!
সংগীত-শিল্পী শুনিয়ে যাচ্ছেন, বাজাচ্ছেন বাদকেরা ।
এদিকে সুবেহ্-সাদিকের অপেক্ষায় সুহায়লা দি’—
আপেল-রঙ্গা শাড়ি পরে এসেছেন উৎসবে ।
এই যে রাত— ঘুমানোর পর সব আলো,
আর ভোরে সবাই জেগে ওঠার আগেই
উনি যাবেন প্রেমিকের দর্শনে;
মিলিত হবেন তা’রা শহরের শেষ রাস্তাটায় ।
অথচ তিনি এখানে এসেই সুরের ঘোরে
ন্যাফথালিন আকাশে দেখতে বসলেন মাতাল রাত ।
...নারীতে পুরুষে পূর্ণিমার ঘোর— শেষটা কখন হয়,
তা কি আর থাকে কারো জানা?
মসজিদে ততক্ষণে ফজরের আযান,
শিল্পী হঠাৎ থামিয়ে দিলেন তার গান;
নিস্তব্ধ নির্ঘুম চোখ-কান-শরীর;
ঘোর ভেঙে শোনা গেল গায়িকার সুকণ্ঠী স্বর—
গানের বেঘোরেই ব’লে উঠলেন তিনি:
“আযানের সুরটা বেশিই ভালো আরো ।“...
দিদির মাথায় আঁচল উঠলো; গানের আঁধারেও
আযান শুনে মাথায় কাপড় দিলো আরো মহিলাগণ ।
ওই রাতে সুহায়লা দি’ আর দেখা করেন নি কারো সাথে—

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।