পাগল বাশুলীর বাঁশী
- সুদীপ্ত সরকার ২৭-০৪-২০২৪

একদা এক পাগল পেল বাঁশের বাঁশী ৷
মূল্যবান কিছু ভেবে আনল মুখে হাসি ৷
খাবে না মাথায় দিবে এবার তাকে ৷
এই দুশ্চিন্তাতেই বেচারা সময় কাটাতে থাকে ৷

কিছুদিন পরে পাগল ঠোঁটে লাগাল বাঁশী ৷
পুপ্ পুপ্ আওয়াজেতে বলল আমি আছি ৷
সারাদিন চিন্তিত হয়ে কাটাতে থাকল সময় ৷
ধীরে ধীরে বাগে এনে নিজেতে বিস্ময় ৷

মনের সুখে পাগল গেলো বনের মাঝে ৷
পশুপাখি সবাই তখন ছিল রত কাজে ৷
অমন মধুর আওয়াজ শুনে ছুটল সবাই ৷
এসে পাগলের সন্নিকটে নাচল বাই বাই ৷

পাগলের সাথে বন্ধুত্ব করল সবাই সেথায় ৷
বেশ কিছুদিন পাগলের সাথে তারা কাটায় ৷
আকস্মিক পাগলের ওই মন বদলে গেলো ৷
বন্য পশুদের মায়াটা ক্রমে ভুলতে লাগল ৷

পশুদের মায়াটা তখনও ছিল পাগলের প্রতি ৷
মায়া ছেড়ে পাগল টানে সম্পর্কের ইতি ৷
হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে পৌঁছাল রাজপথে ৷
মরা রাতে বাঁশীখানি বাজাতে রইল ঠোঁটে ৷

বাঁশীর বশে নিদ্রাভঙ্গ রাজকন্যা ছুটে এল ৷
পাগলের নিকটে এসে ভোর পর্যন্ত শুনল ৷
সকাল সকাল হয়ে গেলে বলে রাজকন্যা ৷
মাতাল সুরে বাজিয়ে বাঁশী করলে আনমনা ৷

আমি তোমায় ভালোবাসি;বিয়ে করতে চাই ৷
'না' কথাটা মুখেতে বলো না দোহাই ৷
পাগলের মতো পাগল করল শুরু হাঁটা ৷
রাজকন্যা হাত দিয়ে কেড়ে নিল বাঁশীটা ৷

তোষামোদ অনেক বার করে কুমারী পাগলকে ৷
পাগল তবুও কিছুই বলল না তাহাকে ৷
এমন সময় শ্রী রাজকুমার এল জুড়ীগাড়িতে ৷
রাজকন্যা বাঁশী ভুলল তার গৌর-অঙ্গতে ৷

বাঁশী হাতে ধরিয়ে কন্যা জুড়ীগাড়িতে উঠল ৷
বাজাও বাশুলী করুণ সুরে রাজকন্যা বলল ৷
এরপর রাজকন্যা চলে গেলো কুমারের সাথে ৷
পাগল রতই রইল হাঁটতে ওই রাজপথে ৷

পাগল কিছুই বুঝল না অপ্রত্যাশিত ঘটনায় ৷
স্বপ্ন সত্যি হয়েও থাকল সব রটনায় ৷
পাগল পাগলই রহে;পাগলামি নাহি হটে ৷
যাহা রটে তাহা কিছু তো বটে ৷

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।