একা
- প্রবীর রায় ২৭-০৪-২০২৪

পিতা-মাতা বেশ ভালো,
ঔরসে আমায় সৃষ্টি করিল
নাম রাখিল আমার বীর,
শিশুর কাছে সুরক্ষিত নীড়।
বড় হইলাম কুড়ে ঘরে,
তাদের আশিসের স্নেহ ডোরে।
কষ্ট নামটা শুনিনি কভু,
ভগবানেরো বড় তারাই প্রভু।
ছোট্ট বেলায় খুশি আর মজা,
মা মলে কান,দিত সাজা।
চোট লাগলে,লাগিত মাকে
কাঁদত মাগো,কাজের ফাঁকে।
বাবা কাজ শেষে বাড়ি ফিরিত,
চকলেট এনে স্নেহ চুম্বন দিত।
পুজোর মাসে নতুন পোশাক,
হোলির দিনে রংয়ের বাহার।
হঠাৎ মা আমার গেল চলে,
প্রদীপের আলেয়া গেল নিভে।
মা হারালাম অনাথ হোলাম,
এই ধরণিতে বড় একা বুঝিলাম।
বড় একা কেউ নেই পাশে,
সৃতি যেন আখি গোচরে ভাসে।
ভুলতে নারি,জননীর মমতা
ঘুমের রাতে,কানে কয় মা কথা।
পিতা হোলেন ব্যস্ত মানুষ,
ভুলে গেলেন আমায়
বিয়ে করে নব বধূকে,
ঘরে সৎমা আনায়।
দেয়নাকো আদর কভু,
শুণ্য বুকে মমতা
আমায় ভিখারি পরিচয় দিয়ে,
তাড়ালো,বলে লাগে তোড়ে ঘৃন্যতা।
পৃথিবী একা,গগন একা,একাযে আমি,
তাই আপন করিয়া বুকে টানিলাম আমি।
নিরব আমি,বুঝিনা কিছু
ছায়া নেয় আমার পিছু,
শুধু ছুটি, এদিক-ওদিক,
কেউ হাকেনা,হৃদয় ধিক-ধিক।
ক্লান্ত আমি,পথের পথিক, বৃক্ষতলে বসি
একা এসেছি,একাই যাব,মনকে সদা বশী।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

opuroy
৩১-০৭-২০১৭ ১৫:৫৩ মিঃ

যতদিন দেহ আছে ততদিন সব আছে,দেহ প্রাণ ত্যাগিলে একা এসেছ একাই যেতে হবে।