আমরা কারো সাথেই পারি নাই— তিনজন মিলেও
- আরিফ শামসুল ২৬-০৪-২০২৪

সমাজপতির চোখ বরাবর একবুক মানানসই জ্যাঠামি হয়ে গেলো। রবির থেকে কি তবে পাতা আলাদা, বিল ভিন্ন? জ্যাঠা, অরবীন্দ্র আর অরবিন্দ এক না-- বিভেদ আছে শব্দগত, অর্থগত বা গতগত। তরতাজা পাতার অবদান সমাজে এত গৌণ কেন?

গলায় কাশি মিশিয়ে অদ্ভুত হাসে তরুণ সাংবাদিক-- সেকি, পারা তো শুরুই করি নাই।

নিজস্ব মানচিত্র বিড়ালের গা থেকে আবিষ্কার করে, নদীর আল দিয়ে যেতে পথে, ব্যাখ্যা করি অদ্ভুতুড়ে কাশফুল। গয়াল-ডাঁটার আড়াল থেকে সহজেই দেখা যায় প্রসন্ন সৌরমুখ; শুরুর শিংয়ের আট-দশতলা গাঁথুনির যদিও পরলোক নাই। কবজি মাপমতো রেখে আঙুলের বট বানিয়ে নদীর শ্যাওলায় তাক করো; কী! গণলাইব্রেরির সিঁড়িতে কমসে কম তিনজন মানুষের পায়ের ছাপ আছে কিনা?

আরো ক্লোজ শটে আসা যাক। এই রইলো সিগারেটের পাছা, দেশলাই, কাচি, দড়ি মৃত শামুকের খোলসে। এবার রাতভর যথারীতি-নীতি বালিশের সাথে থাকো। দূর্বাপার্কের সোজা চোখ নিক্ষেপ করে, গাছেদের নুয়ে থাকা মাথার কিছুটা নিচ দিয়ে, যেখানে আকাশ পলানটুকটুক খেলে, দেখো তো কয়শ’ কাছিম মেলে!

আমাদের অবাক করে দিয়ে শেষমেষ মূলত কেউ বিশ্বাস করলো না-- ছায়াসঙ্গীদ্বয়ের প্রাণে কোনো অপ্রাণি ছিল না। আমি অন্তত দিনের ধার ধারলাম না; প্রাণিহত্যার বিরোধিতা করে ফিরে গেলাম জ্বাল করা চায়ের কাপের মাঝ বরাবর।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।