দোলনচাঁপা
- ইমরান আহমেদ ২৬-০৪-২০২৪

শ্রাবণের দুপুর, বৃষ্টিেভজা পিচের রাস্তা।
গাড়ি গুলো থামতেই মেয়েটি খালিপায়ে দৌড়ে যাচ্ছে জানালার কাছে।
তার হাতে কী এক ধরণের ফুল।
ঠিক খালিও না তার পা,
পুরোনো, ময়লা হয়ে যাওয়া একজোড়া নূপুর পায়ে।
হাতে মেহেদী রঙে হিবিজিবি আঁকা।
আর সব বাঙালী মেয়ের মতো কেউ হয়তো সময় নিয়ে, টিপটিপিয়ে আঁকিয়ে দেয়নি ওর হাতে।
হ্যাঁ, এগুলো আমি লক্ষ্য করেছিলাম!
কাউকে নিয়ে এসব ভাবা অন্যায় কি না আমার জানা নেই।
কিন্তু অসংলগ্ন ভাবনারা বৈশাখের ঝড়ো হাওয়ার মতোই অবাধ্য,
এ পর্যন্ত কেউ কি মেয়েটির রোদে পোড়া তামাটে কপালের উপর থেকে লালচে চুল গুলো সরিয়ে চুমু দিয়েছে ওখানটাতে?
কেউ কি কখনো তার চোখের দিকে তাকিয়ে আদর মেশানো কন্ঠে বলেছে,'তোমার চোখ দুটো পদ্মের মতো; তোমাকে নলিনাক্ষ বলে ডাকবো!'
আর তখন সে ও কি একটু লাজুক হাসি হেসে ছেলেটির চোখ থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গেছিল?
এগুলোর উত্তর সম্ভবত 'না'।
এ পৃথিবীতে প্রকৃতি যেমন উদার, বৈষম্যহীন; যে কারণে বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে মেয়েটির সকল সৌন্দর্যের চাবি খুলে দিয়েছে, বিন্দু মাত্রও কার্পণ্য বা ভেদজ্ঞান করেনি।
অপরদিকে সমাজে হচ্ছে এর উল্টো বিধান,
সেখানে বৈষম্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে সবাই।
মেয়েটিকে বললাম, 'সবুজ পাতা দিয়ে মুড়িয়ে ওগুলো কী বিক্রি করছো, সাদা প্রজাপতি?'
সে বললো 'নাহ্! এগুলো তো দোলনচাঁপা!'

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।