নাসিমার সংসার
- হোসাইন মুহম্মদ কবির - স্বপ্নসুখের সারথি ২৭-০৪-২০২৪

যখন আমি দুরন্ত কিশোরী পুতুল খেলার স্বাদ না মেটে, ঠিক তখন এ সমাজের বদনাম রুখতে ১৩ বছর না হতে স্বামী সংসার এ কপালে জোটে। তখনো স্কুল জীবন হয়নি শেষ তবু স্বামীর সংসার করছি বেশ। শিক্ষা না থাকলে জানা সংসার হয় যেমন, আমার সংসার হইছে ঠিক তেমন। বছর বছর হইছে শিশু লজ্জা ভয়ে নেই'নি কোন পদ্ধতি, ভুল ক্রমে আজ হইছে আমার এমন করুণ দূর্গতি। পুষ্টি হীনতায় দিনেদিনে দেহ হলো ক্ষয়, অভাবী সংসারে ভালোবাসা সুখ নাহী রয়। অলস স্বামী নিত্য যায়না কাজে কারণেঅকারণে সকাল সন্ধ্যা শুধুই ঝগড়া বাজে। ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, আর নেশাখোর স্বামী জুয়া খেলে টাকা উড়ায়। স্ত্রী সন্তান কে কোথা আছে নেয়না খোঁজ, স্বামী ফিরবে ঘরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে কষ্ট লুকিয়ে কাঁদি প্রতি রোজা। সন্তান চায় ভাত খেতে আমি এনে দেবো ভাত কোথা হতে ক্ষুধার্ত সন্তারের চিৎকার কান্না ভেজা চোখ পারিনা আর দেখে সইতে অভুক্ত কাটে দিনরাত নিজ দেহে আজ নাইরে শক্তি, খোদা আমায় মৃত্যু দিয়ে-দেও চিরতরে মুক্তি। হে অন্তর্যামী এ জীবন চাইনি'তো আমি, এ কেমন স্বামী সংসার দিলে তুমি। প্রতিনিয়ত লোক সমাজে মন্দকথা শুনি, আজ বুঝেছি এ ভুবনে তাঁরাই প্রকৃত ধনী যারা শিক্ষিত ও জ্ঞানী। স্বামী বেঁচে থাকতে ঘুরি অন্যের দ্বারে এক মুঠো ভাতের বিনিময় , অভাবে হয়েছে সভাব নষ্ট লোকে কতো মিথ্যে অপবাদ দেয় সে কি আর এই প্রাণে সয়। যৌবনরস শুকিয়ে প্রায় তবু কিছু পুরুষ কাজের ছলে টাকার প্লাবনে যৌবনরস চুষে মধু নিতে চায় আমি আজ বড়'ই অসহায়, যদি নারীর সম্মানের বিনিময় এক মুঠো ভাত পাওয়া যায় আর সে ভাত যদি আমার সন্তানের জীবন বাঁচায়। সে পাপ কর্মে নিজ বিবেক আজ পাপ খুঁজে না পায়, এ সমাজ কোন কিছুর বিনিময় ছারা কাউ কে কিছুই না দেয়। অন্ন বস্ত্র শিক্ষা নারীর সম্মান পূর্ণ অধিকার দিতে যে সমাজ হয় ব্যর্থ, যে সমাজে সবাই খোঁজে নিজ নিজ স্বার্থ। এ সমাজ বড় বড় নীতি কথা শোনাতে পারে বেশ, সমাজ কভু দেখেনি চেয়ে আমার মতো কতো নাসিমার সংসার তিলে তিলে হয়েছে শেষ। ০২/১০/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।