রাখাল ছেলে
- হোসাইন মুহম্মদ কবির ২৬-০৪-২০২৪
পূর্ব আকাশে সূর্য যখন উঠে
কোনো রকম পান্তাভাত খেয়ে
গরু নিয়ে যাই মাঠে।
ঘাসকাটি খালে বিলে মাঠে রোদ বৃষ্টিঝড়ে,
দূরহতে ছেলে মেয়ের স্কুলে যাওয়া দেখে তাকিয়ে থাকি নির্বাক চোখে মাঝেমাঝে দু'চোখের জল ঝড়ে পড়ে।
জমিদার বাড়ির রাখাল আমি
মাইনে পাই তিন বেলা তিন মুঠো ভাত,
বছরে একটা লুঙ্গী একটা গামছা
গোয়াল ঘরের পাশে কাটে আমার রাত।
মা আমার জম্মের সময় মারা যায়
দেখিনি মমতাময়ী মায়ের মুখ,
বাবা থেকেও আজ না থাকার মতো
বাবার একটু আদর পেতে ইচ্ছে হয় খুব।
ছোট মায়ের সংসার নিয়ে বাবা
হাসি আনন্দে আছো বেশ ভালো তুমি,
ছোট মায়ের অত্যাচারে
জমিদার বাড়ির রাখাল হলাম আমি।
গরীব বলে কতো মন্দ কথা শুনি
হলে একটু ভুল ত্রুটি,
ভাত দেয়না খেতে-দেয়না একটা রুটি।
পেট দশ আঙ্গুলে খামছে ধরি
ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পারি,
অশ্রুঝরা চোখে মাটিতে গড়াগড়ি
একমুঠো ভাত দেও ক্ষুধার জ্বালায় মরি।
মাঝেমাঝে মনে হয় মানুষ না হয়ে যদি
কুকুর হতাম-জমিদার বাড়ির কুকুর দেখে স্বাদ জাগে এমন,
সে কি খাবার কি যত্নআত্তি
কেনো যে বিধাতা আমায় কুকুর বানালো না-জানিনা সে কারণ।
প্রায় এগারো বছর বয়স আমার
জমিদার বাড়ির ছেলে মেয়ে দেখে
খুব হিংসা হয়- আমি গরীব রাখাল হলাম কেনো?
ইচ্ছেকরে সবার আদর স্নেহ পেতে
ভালো একটু খাবার খেতে,
স্কুলেপড়ে শিক্ষিত বিবেক বান মানুষ হতে।
কিন্তু সে সুযোগ কি করে হবে
রাখালের স্বপ্ন-স্বপ্ন'ই রয়ে যাবে।
১৩/১০/২০১৫
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।