সুখকন্যা
- নওশীন শিকদার ২৬-০৪-২০২৪

োরের কান্না মাটির বুকের খাদে গড়ায়, আমার আকাশীরঙা তোয়ালেটা ভেজা চোখের জলে।
ভিজে যায় শখের বেলীফুলগাছটা;
ওটা বারান্দার একদম কোনায় বিরক্তভাবে বসে মুখ কুঁচকে দেখে আমাকেই।
শিশিরে ভেজা ওই গাছে একটি ফুলও নেই!
আকাশ সে তো আমার থেকেও আমার নয়; অকৃতজ্ঞ আমি আজন্মের অভিশপ্ত।
পাখির ডাকগুলো সব ভোরের ঠোঙা ছিঁড়ে বের হচ্ছে...
এখানে জানালার গ্রিলে এখনও প্রেতপুরীর অন্ধকার; জড়োয়া নক্ষত্রেরা চোখের আড়াল হতে শুরু করবে একটুপরে।
ঘুমিয়ে থাকা শহরে কয়েকটা ছেঁড়া পালক আর পাপোশের ওপর পরিচিত সারমেয়টার ঝিমিয়ে থাকার অভ্যাস।
একটা বাচ্চা ছেলের হাতে কাঁশফুলের গোছা; আমার বুকটা ধ্বক করে ওঠে!
আমি একাই বসে থাকি চায়ের কাপ নিয়ে, ছাদের কালিঝুলি ভর্তি ঘরে...
ভোর আমার আজন্মের আপন, আমি ভোরের চোখে টুকরো করুণা মাত্র।
স্বপ্নের ড্রয়ার তালাবদ্ধ, চাবিটা হারিয়ে গিয়েছে।
দরজার এপাশে অসমাপ্ত স্কেচ, তার ওপরে একস্তর ধূলো
এর ওপরে আবার আধফোঁটা মায়ার গঞ্জনা!
আমার জানালায় ভোর গলে পড়েনা এখন, তবু আমি কুয়াশার রাজ্যে শিশিরের ইন্ধনদাতা।
এখনও হাত বাড়িয়ে আকাশ ছুঁতে চাই, চিনেমাটির পেয়ালায় চা খেতে বসে মেঘ খেয়ে ফেলি!
দোপাঁটি ফুলের মতন রঙ ছড়াতে পারি কথায় কথায় সাজপ্রহর শেষে!
হাসতে হাসতে চোখের জল গিলে খাই, বড্ড খিদে মনেতে বোধহয়!
খিদে থাকলেও খেতে পারিনা নতুন কিছু তবে হাসতে পারি খুব...
এ হাসি দেখে ধোঁকা খাচ্ছে গুনীজনেরাও, পানপাতার সূঁচালো অংশেরাও শেষমেষ সোজা হয়ে বলবে
"এমন সুখকন্যা আর কই আছে?"

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।