অরুন্ধতী রহমান (১৮)
- নওশীন শিকদার ২৭-০৪-২০২৪

সেদিন আমলকীর ডালে
গুচ্ছ গুচ্ছ রোদ খেলছিল...
আমি ছুঁয়ে দেখিনি সেই উচ্ছ্বলতা।
পান পাতার মতন ঝাঁঝালো দৃষ্টির সবটা ঢেলে দিয়েছিলাম তোমার ওপর,
সেই থেকে তোমার মুখোমুখি মূহুর্ত সমগ্রে হারালাম প্রচলিত জড়তা!
তুমি নও সরল তুমি নও গরল
নারকেলের পানির মতন রঙ চোখের জলের...
তুমি প্রলাপ, তুমিই নির্মল।
সেদিন আমলকীর ডালে আমার দীর্ঘশ্বাসেরা ছুটোছুটি করেছিল...
দোয়েলের শিষে ধ্যান ভাঙেনি নুয়ে থাকা ডালিম গাছটার।
শিল নোড়ায় পেষা চূর্ণবিচূর্ণ মেহেদী রঙা শাড়িতেও বড় নিষ্প্রাণ অবয়ব
তোমার অপরিচিতার...
ট্রেনের শব্দে অযথাই আনমনা হবার পুরোনো অভ্যাস তার...
শুধু বদলে গেছে তার চিন্তার পরিধি -
বিশ্বাসের গন্ডি তোমার বিপরীতে।
সেদিন ভাঙা কাঁচের চুড়ি পড়ে থাকা পথটায় ভোরের শিশিরের গলাগলি চোখে পড়েছিল...
আমি ভোরটাকে অশ্রুভেজা হাতের তালুতে আলতো করে মুড়িয়ে নিয়ে ছুটে যাই তোমার বুকপকেটে রাখতে।
আফসোস, রাখতে পারলামনা আমার অক্ষমতায়!
তাই বলছি ছুটন্ত তারার সাথে আমাকে তুলনা করোনা
আমি ছাই হতে শিখেছি, ফিনিক্স নয়।
সেদিন পোড়াবাড়ির ছাদ থেকেও অপরিচিত ফুলের পাগল করা গন্ধ আসছিল...
তারপর আমি কুয়োর জলে তোমার কাঁচরঙা ছায়া খুঁজতে খুঁজতে হারাই একদিন।
শুধু থমকে থাকো তুমি,
আমার উপাখ্যানের পরিচিত বনহরিণ
অরুন্ধতী রহমান!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।