বসন্ত রাগিনী
- আনিসুল হক লিখন ২৭-০৪-২০২৪

...
বসন্ত রাগিনী তুই নেই বলে
আমার মনোফুলে সব গুলো ফুল ঝরে গেছে
তাড়িয়ে দিয়েছি যতো পাখি ছিলো
রাত জাগা টকটকে লাল আঁখিতে
বিষাদের বিষন্ন প্রহর কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
তুই কোথায় কোথায়
বলে চিৎকার করে বেহাইয়া হৃদয়।
হারিয়ে ফেলেছি বাঁশুরীর সুর
যদিও আসে বিরহ বিভোর ছাড়া আর কোন ধারায়
ওঠে নারে তাল।
কেন করলি সরলতার মাঠে
এতো অনাচার ?
তোর সিঁদুরে আমার পরান ডুকরে কাঁদে
প্রভাতে সন্ধ্যায় জোনাই জলা পথ ছায়ায়।
বসন্ত রাগিনী কি করবো বল
আবার জমা হয়েছে একটার পর একটা সিগেরেটের শেষাংস
নেশার আম্রকাননে সুখে থাকিনারে
ঝাপটে ধরে ডুবিয়ে রাখি যদি আসে ঘুম।
বসন্ত রাগিনী অনন্ত প্রিয়তমা আমার
শাপল শালুকের আবাসনে
আমি এক নিতান্তই ভবঘুরে
যেন বেঁচে থেকে ঝরে যাওয়া
কোন এক মাতাল পথিক।
তুই যখন ছিলে আমার পাশে
বিলি কেটে দিতে আদরে আদরে মাথার কেশ
উনিশ থেকে বিশ হলে ছাল বাড়ি মাথায় তুলে যা তা বকা
আর আমি দু হাত জোড় করে বলতাম
গোস্তাকী মাপ হ্যায় জাঁহাপনা
আর ভুল হবেনা !
ওলট পালট করবো না বিছানার বালিশ চাদর।
ক্ষনিক পরেই হাসতে হাসতে
সব ভুলে যেতে
আজ সেই চাদরে চৌদ্ধকোটি বিষাদী ক্ষত
থাকিয়ে দেখে তোর চলে যাওয়া লোভ বিলাসের গল্পগলো
প্রলেপ কাটে নিকোটিনের গন্ধে।
বসন্ত রাগিনী
তুলসী গাছের নিচে সারাটা সকাল থাকিয়ে থাকি
কেন যে থাকাই
থাকিয়ে দেখি তোর হাত আঙ্গুল মিহি মিহি কথা
আর আমাকে বলতে আমার যাদুটাকে সব সময় যতোন করে রেখো ।
বসন্ত রাগিনী
সব ঠিকঠাক আগের মতো আছে
দূর থেকে ঘুঘুর ডাক এখনো শোনা যায়
গহীণ অরণ্য থেকে শিয়ালের কান্না
রাতের পোষা কুকুরগুলো সকাল হলেই
কাঁজুমাজু হয়ে নিরবে বসে চোখের জল ছাড়ে।
আমি বুঝি
ওরাও তোর জন্যই কাঁদে
আর তুই কাঁদিস
একটুকু সুখ আর বিলাসী পথের
এক জুড়ো জুতোর জন্য।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।