অভিবাসনা
- মোমারসা - কারুকাব্য-২ ১২-০৫-২০২৪

দূরদর্শীতার সন্ধিমূলে হঠাৎ দেখা এক উড়ন্ত বালিকার,
আহা! কত-শতভঙ্গি দিয়ে সাজানো হেতু!
রোদ্দুরের এপারে আমি,
প্রলম্বিত ছায়ায় তোমারে দেখি, সাধ জাগে আরো!
ছুঁয়ে যাওয়া তটভূমি,
বিলাসী ভ্রমরের পাখায় কাব্য আঁকি,
কারণে-অকারণে স্বপ্ন বুনি প্রতিক্ষায় নিরবে আদিম আমি, মগ্নতরু।
নিষেধের সীমানা ভুলে অনন্ত পাঁচিলে জমে থাকে রতিশব্দরা, অনাকাঙ্ক্ষিত খন্দকে শ্যাওলা জমে,
চাঁদের বুড়ি ফোকলা হাসে,
বাতাসটাও, ভীষণ বৈরী!
চেরাগ নেই, আমি আজও গন্ধ পাই
ঘনীভূত প্রশাখায় বারান্দাটা এখনও একইরকম আছে,
নীড়ফেরা পাখিরা আজও ফিরে আসে ঐ ছোট্ট কোনায় গাঁথা একই সুরে,
অভ্যস্ত চোখে আকাশটাও যেন দারুন বৈপরীত্য দেখায়।
আবক্ষ ক্ষুধা নিয়ে ক্রুদ্ধ শিকারি হয়ে জলকণাগুলো অদৃশ্যতৃার ভান ধরে,
বুকের ভেতরে তপ্ত সীসা,
শেকড়ে জ্বলে দাউ দাউ ক্ষিপ্ত নক্ষত্রে।
ভেবেছিলাম বৃহত্তম পাখি হবো,
তোমায় অজস্র ছায়া দিয়ে স্নান করাবো।
শুভ্রকণা দিয়ে তিথি মেলাবো মাধুকরীবৃত্তে,
অঙ্কুরিত কলি দিয়ে সাজাবো, এ শৃঙ্খলকে।
আহারে!
বালিকা, আরেকবার উড়বা ঐ রোদ্দুরে?

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।