নিস্তরঙ্গ
- নওশীন শিকদার ২৬-০৪-২০২৪

দেখা হলো আলকাতরারঙা ছাতা হাতে...
আমার খোঁপায় গতরাতে ফেলা বাসি অশ্রু আটকে আছে ;
তার হাতে ছাইরঙা অফিস-ফাইল
চোখে মাঘের কুয়াশারঙা শীতল চাহনি অজস্র।
ভালোবাসারা গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টি হয়ে ঝরেনি
রোদের ফিনফিনে খামে সন্দেহভরাট দৃষ্টি অকৃপণ।
একটাই আফসোস, অর্ধযুগ পেরিয়েও ভালোবাসতে পারলামনা!
হাতের মুঠোতেই তাই সময়ের তাড়ায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় শেষ চিঠিটা।
শেষ দেখার দুপুরটা সাদামাটা ছিলোনা মোটেও
তার সারসরঙা শার্টের পেঙ্গুইনরঙা বোতামটা চকচকে লাগলো
আমার হাতব্যাগের সোনালী চেইনটা ঝিলিক দিয়ে উঠলো!
শুধু স্তব্ধ অগোছালো আমার ঠোঁটের মঞ্চ।
সোনালু ফুলের দুলুনি অন্যদিনের মতনই জাঁকজমক আবেদনময়ী,
কড়ই গাছের ডালে বুলবুলিটা শিষ দিচ্ছে মুখ বাঁকিয়ে এমনভাবে...
যেন কোথাও কিছুই হয়নি!
কেউ জানুক না জানুক অনেককিছু হয়ে গিয়েছে বটে,
অস্ত্বিত্ব জোড়া হৃদয়ের ক্ষতগুলো সেলাই দেবার জায়গাও ফুরিয়েছে!
বেলফুলের মতন কচি ভাব নিয়ে তার প্রেমিকা হয়েছিলাম এক শীতে,
আজ চলে যাচ্ছি সমস্ত ভাব মাটিতে সঁপে নিস্তরঙ্গতার খোঁজে...
তার হাতঘড়ির টিকটিক দীর্ঘশ্বাসও অসহ্য লাগছে!
পেছনে ফিরে তাকাইনি, যেতে যেতে বলাই হয়নি...
"বাকিটা জীবন আমাকে স্বার্থপর থাকতে দাও;
তোমাকে চুপিসারে ভালোবাসার জন্য নিরবতা খুব প্রয়োজন।"

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।