বর্তমান, অতীত এবং আমি
- জুনায়েদ বি. রাহমান ২৬-০৪-২০২৪

ওখানে আলোকরশ্মিদের ঘুম ভাঙ্গলে,
অন্ধকারেরা চলে যায় পৃথিবীর অপর প্রান্তে
অথবা আরো অনেক দূরে--
গ্যালাক্সির নীরব কোনোএক গ্রহে, বিশ্রামে;
জাগ্রতপ্রাণগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজেদের নিয়ে।
সূর্যের সোনারঙে প্রকৃতি সাজে--
পাখিদের ডাকে মধ্যবিত্ত চারকোণা ঘরদের জানালা নগ্ন হয়!
সবুজপাতাদের চিবুক ছুঁয়ে
চুইয়ে চুইয়ে ঝরে পড়ে অন্ধকারে জন্মানো জলকণা'রা।
বেলা বাড়ে, বাড়ে সোনালু আলোয় মোড়ানো
সবুজাভ প্রকৃতির কৌলীন্য এবং বউঝি গৃহস্থদের ব্যস্ততা।
-
এখানে সকাল হলে রঙ্গিন কাপড়ে ঢেকে রাখি
কাঁচের গ্লাস কিম্বা বাইরের বিমর্ষ প্রকৃতি;
যেখানে কোমল বাতাসে ভেসে বেড়ায়
বারোমাসি বেদুইন বালি!
রুক্ষতার ভয়ে কুঁকড়ে কাঁদে
কোমল সবুজপাতাওয়ালা বৃক্ষদের স্বপ্নকুড়ি এবং
অদৃশ্য শিকলে বন্ধী, সুখ সন্ধানী কতিপয় পরিযায়ী পাখি।
-
এখনো শতসহস্র মাইল দূরের মরু প্রান্তরে কিম্বা
অত্যাধুনিক কংক্রিটের শহরে শরীর ঠেকিয়ে
চোখের কপাট বন্ধ করে, উত্তুরে চোখ রাখলে, চোখে ভাসে-
আউশের মাঠ, রমিজউদ্দিনের ছোট্ট বাড়ি-
জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা আনমনা যুবতী এবং চেনা অচেনা কয়েটা বৃক্ষ:
আমার মায়াময়ী গ্রাম; চেনা সকালদের দৃশ্য চিত্র...
-
স্রষ্টার পৃথিবী প্রাচীন নিয়মে ঘুরছে আপন কক্ষপথে
অথচ কি অদ্ভুতভাবে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে আমার কক্ষপথ
এবং আমার আমি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।