সঙ্গপ্রিয়তা
- কাফাশ মুনহামাননা - শেষবেলা ২৭-০৪-২০২৪

ভার্সিটি জীবনে তার প্রতি আমার
দুর্বলতা ছিল চরম পর্যায়ের।
তাকে আমি আরো আগে থেকেই চিনতাম।
এলাকার কোনো এক গলির দোকানে
প্রথম পরিচয় ঘটে তার আর আমার।
শত শত যুবক-বৃদ্ধ-আবাল তার প্রেমে
পাগল ছিল উন্মাদের মতো।
এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে হয়তো।
আমি আর বাদ যাই কি করে?
যদিও ভার্সিটি আসার আগ পর্যন্ত
তাকে তেমন একটা পাত্তা দেই নি।
অবশ্য আমার পাত্তা দেয়া না-দেয়ায় তার
তেমন কিছু এসে যেতো না।
এখনো একদিন তাকে না-পেলে যে
আমজনতার পালে বিশাল
লংমার্চ-অবরোধ-হরতাল শুরু হয়ে যাবে,
তা তার দেওয়ানাদের দেখলেই অনুমেয়।

এক ক্লাসমেট বন্ধু আমাকে সরাসরি
প্রথম নিয়ে যায় তার কাছে ভার্সিটিতে।
এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলাম সেদিন -
কোনোকিছুর সাথে এর তুলনা চলে না।
ক্লাশেও তাকে নিয়ে আলোচনা হতো।
আমিও তার সাথে ঘনঘন
দেখা করতে লাগলাম।
অজান্তে ভালোও বেসে ফেললাম একসময়।
আস্তে আস্তে তার নেশা এতোটা চড়ে গিয়েছিলো যে,
তাকে ছাড়া একটা দিন কল্পনা করা
আমার জন্য আত্মহত্যার সমান ছিল।

সকালে ক্লাশের আগে একবার তার ছোঁয়া না পেলে
দিনটা কেমন ম্যারম্যারে মনে হতো।
শিশিরের সতেজতা তার সারা বদন জুড়ে
লেগে থাকতো সবসময়।
মন খারাপ হলে তাই
তার সাথে আড্ডা দিতাম প্রাণ খুলে।
প্রতিদিন দশ-পনেরো বার তার সাথে
আমার দেখা করা লাগতো-ই।
বন্ধু-বান্ধব আর তার সঙ্গপ্রিয়তায়
আনন্দেই কেটেছিলো ভার্সিটির দিনগুলো।
স্মৃতির পাতায় সে অনুভূতিরা এখনো ভাস্বর।

এক কাপ চা!
তুমি আছো বলেই এখনো স্বপ্ন দেখি।
তুমি আছো বলেই সমান তালে রসদ খুঁজি লেখালেখির।
তুমি আছো তাই উজ্জীবিত হই চুমুকে চুমুকে প্রতিবার।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।