শীতের ভোর
- জাহিদ হাসান নাদিম - সৌপ্তিক ২৬-০৪-২০২৪

আঁধার কালো ভোরের আলো
চড়াই পথে আদ্র ভুবন,
তিমির সাজে দিনের মাঝে
মাঘে ঘটে সূর্য হরণ।

সূর্যি মামার নিষ্ক্রিয়তা
দেখে যায় নিস্পৃহে,
বাহিরে ঘন কুয়াশা বাহে
বন্দী হয়ে রহি গৃহে।

উত্তাপহীন মলিন ভোর
কাজেতে এনেছে ভাটি,
ভোরের উত্তাপ নিগ্রহ করে
বরফ করেছে মাটি।

তেজি মামা হয়েছে মন্দা
সংশয় এনেছে দ্বারে,
শীতের দাপটে প্রাণ চঞ্চল
গ্রামের কুঁড়ে ঘরে।

কৃষক চলে বিলের পথে,
কেহ বহে খেঁজুর রস,
কুয়াশা মাঝে জীর্ণ জীবন
আমোদে এনেছে ধস।

ভোরেতে কেহ আগুন পোহা
চালা ঘরের পাড়ে,
জীর্ণ বস্ত্রে যায়না শীত,
শৈত্য বায়ুর তোড়ে।

শৈত্যে কেহ রোগে ভুগে,
এ ঋতু বড় বন্ধুর,
এ সকাল বড় নিন্দিত,
সব প্রাণ করে মন্থর।

তবু কিছুক্ষন চঞ্চল গ্রাম
আমোদে গাহে গীত,
বেভাড় পাঠায় কুটুমবাড়ি
পিঠায় মাতায় শীত।

উঠে কাকভোরে গায়ের বধু
বানায় নানান পিঠা,
খেঁজুরের গুড়ে রসের পিঠা,
আহারে স্বাদে মিঠা।

কুটুমবাড়ি বেভাড় পাঠায়
মিঠা বাড়ে সম্পর্কে,
আত্মীয়তা রঙে মেতে উঠে,
হরেক পিঠার মোড়কে।



নিস্পৃহে-কৌতুহলী নয় এমন | বাহে-ভাই | মন্দা-যার তেজ নেই | বন্ধুর-যা মসৃণ নয় | বহে-বহন করে | বেভাড়-আত্মীয়দের বাড়িতে হাড়ি ভরে পিঠা বা ফল পাঠানো

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।