জোনাকি
- সোহরাব হোসেন - ষোড়শী কাব্যমালা ২৭-০৪-২০২৪

রাত্রি নিশিতে দূর আকাশে প্রাণহীন তারা,
বিশাখার নক্ষত্র কি তুমি? নিথর, অধরা!
শত আলোকবর্ষ দূরেতে, ওহে দীর্ঘজীবী!
মিটিমিটি অণুলণ্ঠন জ্বলে, শত ক্ষণজীবী
দেখ কিনা এই দূরদেশে? মাঠের এ তারা,
শীতনিদ্রা সাঙ্গ করে বসন্তে এসে দিশেহারা।
প্রেমের রসায়ন হৃদয়ে, পুচ্ছে জ্বেলে আলো
নিশাচর জোনাক খোঁজে- কে বাসে তারে ভালো!
পাথুরে বর্ণময় রজনী, লোকালয় ছাড়ি—
নির্জনে পতঙ্গের তালাশ, তার কোন বাড়ি!

প্রেমময়ী, ঐ স্বপ্রভ ডাকে দেবে কিনা সাড়া?
অমিয় প্রেম সুধায় হবে কিগো আত্মহারা!
জলের ধারে ঝোপ-ঝাড়ে সে ঘর বেঁধে দিবে,
এসকারগোট দিবে পাতে, মন পুরে খাবে।
শতধা সুরে বাঁধিবে সদা রজনী প্রহর—
স্নিগ্ধ নেশার পিদিম জ্বেলে, হবে সহচর?

বুধবার, পতেঙ্গা
২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ইং।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

robinbdbuet
২৬-০১-২০১৮ ০০:৩৩ মিঃ

আমার চতুর্থ ষোড়শী কবিতা! পুরাতন কবিতার ষোড়শী রূপ।

১০ পদ + ৬ পদ = ১৬ পদ প্রতিটি চরণে

এভাবেই ১০ চরণ + ৬ চরণ = সর্বমোট ১৬ চরেণর (লাইন) কবিতা

প্রথম ১০ চরণে উপস্থাপনা, শেষ ৬ চরণে নিবেদন, এভাবেই হয়েছিল ষোড়শীর স্থাপত্য নকশা।