মার্চ-১৯৭১
- এস. মেহেদী হাসান - ইশ্বরের নরক যাত্রা ২৭-০৪-২০২৪

সেনা ছাউনির করিডোর থেকে ভেসে এলো
কোনো অধিবেশন হবে না;
ইয়াহিয়ার দম্ভে ভ্রুকুটি দেখিয়ে
পূর্বাণী অভিমুখে জনতার ঢলে হ্যামিলিওনের বাঁশীওয়ালা বাজালেন-
হরতাল! হরতাল! হরতাল.....
একে একে অন্ধকার ঘর থেকে বেরিয়ে এলো
সাধারণ জনতা--শ্রমিক-সরকারি আমলা,
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে উঠলো জনতার মঞ্চ
হ্যামিলিওনের বাঁশীওয়ালা সুর তুললেন বাঁশীতে-
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম;
এরপর -----
নাপাক সেনার জারজ বুলেটে বুক পেতে দিলো
কৃষক...দিনমজুর...বাঙালি
বঙ্গবন্ধুর দশ দফা হয়ে উঠলো চৌদ্দ দফার আন্দোলন
জনতা বুলেট হয়ে নেমে এলো রাজপথে,
ভূট্টোর দাম্ভিকতা জনতাকে উপেক্ষা করে
গণতন্ত্রের সম্মুখে তাক করলেন
মেশিনগানের তপ্ত শীশা;
বাংলাদেশ ছুটে গেলো- ধানমন্ডি ৩২,
বাঙালির শেষ ঠিকানায়...
বঙ্গবন্ধু শোনালেন মৃত্যুর অভয় বাণী-
কোনো বন্ধুক--কামান--মেশিনগান স্বাধীনতার স্বপ্ন রুখতে পারবে না...
একটা লাল সবুজের পতাকায় লিখলেন-
স্বাধীনতার শেষ এবং চূড়ান্ত মহাকাব্য...
এরপর আর কোনো কবিতা নেই
আর কোনো গল্প নেই
শুধু নৃশংসতার ইতিহাস আছে,
ওই পাকিস্তানি জারজদের
রাত্রের অন্ধকারে নারকীয় খেলার দৃশ্য আছে,
ঘুমন্ত শহরের আছে মৃত্যুর উৎসব;
এ শহর আর কোনো রাত দেখেনি
ওই মৃত্যুর মিছিলে লাশ দেখেনি...
শুধু লাশের ভীড়ে স্বাধীনতা দেখেছে...
একদল মুক্তিকামী মানুষের
একটা পতাকার জন্যে প্রেম দেখেছে;

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।