শুরু বা শেষ
- বৈশালী গাঙ্গুলী ২৭-০৪-২০২৪

মনে আছে- মোমবাতি মার্চে;
রাস্তার ঠিক মাঝে- অনেক গাড়িঘোড়ার শব্দ শোনা যাচ্ছিল;
যেন সব উন্নয়ন রাস্তায় উঠে এসেছিল!
উদ্বেলিত হচ্ছিল মানুষের স্পন্দন,
তখন তুমি বামহাতটা শক্ত করে ধরেছিলে সাবধানে, তাই পেরিয়ে এলাম সমস্ত রাস্তাঘাট সসম্মানে!

কব্জিতে পড়া নতুন সময়-
নতুন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
পাহাড় ঘেঁষে নদীর বুকে ডুবে, পুঞ্জীভূত মেঘের স্বপ্নের ছুটি-
সন্ধ্যাবেলায় ঝুল বারান্দায় চারটি চোখের মিলন।

একবারও মনে করিনি সেদিন-
জয়- পরাজয়ের কথা;
ছোটবেলার খুনসুটির মতো নিষ্পাপ, শুদ্ধ ছিল-
সেই অক্লান্ত হাঁটার সহমর্মিতা!
তারপর মৃদু পায়ে পড়ন্ত যৌবনে, লেগেছিল কিছু অভিশাপ-
সব ছেড়ে চলে গেল সময়;
মেপে দেখিনি কতটা ছিল,
পুড়ে যাওয়া গোপন অভিসারের
উত্তাপ।

সিঁথির দুপাশে সাদা আল ধরে বয়ে চলে গেল,
শ্রাবণের ডাগর আঁখির অতীত ও ভবিতব্য মেনে- একটি নদী।
শেষ সীমান্তে কোন এক নির্জন দ্বীপে, ছিনিয়ে নেবে সমুদ্র অস্তিত্ব- বিলুপ্ত হয়ে যাবে দরদী!

স্খলিত হচ্ছে বুকের স্পন্দন -
একদিন তুমি বামহাতটা শক্ত করে ধরবে জানি- সাবধানে,
তাই পেরিয়ে এলাম, একাকী রাস্তা সসম্মানে!

================

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।