মহা শিবরাত্রি ব্রত
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী - আমার কবিতা ২৬-০৪-২০২৪

মহা শিবরাত্রি ব্রত
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আজ সারা ভারতবর্ষে যখন পালন করা হচ্ছে মহা শিবরাত্রি ব্রত, তখন ভারতবর্ষ সহ সমস্ত পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে নব কলেবরে পালিত হচ্ছে পবিত্র ভালবাসা দিবস। ভালবাসা মানে প্রেম আর প্রেম মানে প্রতিশ্রতি, অঙ্গীকার, বিশ্বাস। এই পবিত্র ভালবাসাই আমাদের সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে। ভালবাসার দাম অনেক, তাই দামী দামী গোলাপ কিনে প্রেমীরা তার প্রিয়জনদের গোলাপ উপহার দেয়। কিন্তু গোলাপ তো আমরা দিই, কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনটা দুঃখময় হয়ে যায় । অবসাদ, বিরক্তি ঠিকভাবে খুশিতে থাকতে দেয় না। কারণ খুশিতে থাকতে গেলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেদের মধ্যে কিছু দেওয়া নেওয়া, তা সে শুভ্র ধুতুরা ফুল হোক বা রক্ত গোলাপই হোক। আর তাহলে প্রগাঢ় হবে ভালবাসা, তাহলেই দৃঢ় হবে আত্মবিশ্বাস, সুন্দর হবে দুটি মন, দুটি হৃদয়।


সেই ভাবনায় লেখা সনাতন হিন্দুধর্মের শাস্ত্রবিধান অনুযায়ী আমার ধর্মীয় কবিতা


মহা শিবরাত্রি ব্রত
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মহা শিবরাত্রি ব্রত খ্যাত চরাচরে,
মর্ত্ত্যবাসী জীব সবে শিবপূজা করে।
হরগৌরী একসাথে আসেন ধরাতে,
শিবের বিবাহ আজি, আজিকার রাতে।


পত্রপুষ্পে সুসজ্জিত দেবালয় মাঝে,
ঘৃতের প্রদীপ জ্বলে শঙ্খ ঘন্টা বাজে।
কুমারী সকলে হাতে আকন্দের মালা,
বিল্ব ধুতুরার ফুল প্রসাদের থালা।


শিবের মস্তকে দেয় দুগ্ধ গঙ্গাজল,
কমলা কদলী কুল নানাবিধ ফল।
উপবাসী থাকে সবে মাগে এই বর,
তোমা সম পতি যেন পাই মহেশ্বর।


মহা শিবরাত্রি কথা অপূর্ব কথন,
প্রতি বর্ষে হেরি এই মধুর মিলন।
শিবরাত্রি ব্রত কথা হল সমাপন,
কবিতায় লিখে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।