চর
- মোঃ আব্দুর রহমান ২৬-০৪-২০২৪
অনেক আগের কথা, তখন পদ্মার জল
চৈত্রের আকাশের মতো নীল, স্বচ্ছ ছিল।
তারপর, তোমার আমার কিছু অমিমাংসিত অভিমান,
ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চেপে রাখা রাগ
পদ্মার পানিকে ঘোলা করলো, দূষিত করলো।
অমিমাংসিত নোংরা বর্জ্য গুলো বাড়তে বাড়তে
একসময় তলায় জমতে শুরু করলো।
ভুল গুলো স্তরে স্তরে জমা হয়ে চর পড়ে গেল।
বহুদূর এসে পদ্মার স্রোত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেল।
দৃশ্যমান চরে দু পাশের স্রোতধারাই মৃদু আঘাত করে
ভাঙার চেষ্টা করলো,
কিন্তু এতদিনে জমা বিশাল চরে
এসব আঘাত ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেল।
অভিমানের পাহাড় আরও শক্ত, কঠিন হতে লাগলো।
একসময়, দু পাশের স্রোতধারাই অপর পাশের কথা ভুলে গেল।
শুধু কোন নিস্তব্ধ রজনীতে,শান্ত পদ্মার বুকে
চাঁদের আলো যখন মায়াবী কোন গল্প তৈরি করে,
তখন, শুধু তখনই দু পাশের স্রোত কোন এক চাপা
ব্যাথার দীর্ঘশ্বাস মিলিয়ে দেয় ঢেউয়ের সাথে, বাতাসের সাথে।
দূরে কোথাও , হয়তো চরের শেষে, খুব গভীরে
এখনো দুটি স্রোত এক হয়ে আছে।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।