ভালোবাসা-কাল
- মারুফুল হাসান ২৭-০৪-২০২৪বাসন্তী, হঠাৎ বলে উঠলে কাল তিনপ্রকার। আমি বললাম পাঁচ প্রকার। তুমি চোখ পাকিয়ে বললে, অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতকাল। এক চিলতে হাসি দিয়ে বললাম, ‘শৈশব, কৈশর, যৌবন, পৌঢ় আর বৃদ্ধকাল।’ ‘ আকাল, সুকাল, ইহকাল, পরকাল, সকাল, বিকাল আর ফল মাকাল এসব কোথায় গেল জীবন দা?’ বলতে বলতে হাসিতে ভেঙে পড়লে। তোমার লুটিয়ে পড়া হাসি ভীষণ সাড়া ফেলে দিলো মড়লদের বিরাট বাঁশঝাড়ে। চৌধুরিদের পুকুরপাড়ে বসতে না বসতেই ফস করে বলে ফেললে, ‘আচ্ছা জীবন দা, এখন আমার কোন কাল? কৈশর নাকি যৌবন?’ চটজলদি বললাম, ‘শৈশবকাল। বাচ্চামেয়ে আবার যৌবন!’ শক্তঢিলের মত লাগে একথা তোমার নারীত্বের কাশঝাড়ে। ঢোঁড়াসাপের মত ফুসে উঠে বললে, জীবন দা বড্ড বাড়াবাড়ি করছ কিন্তু।’ আমাকে টেনে তুললে একদম মুখোমুখি। নিচের মাটি টেনে নিল ওড়না নামের কাপড়টিকে। নিঃশ্বাসের তালে তালে উঠানামা করে পিঠালি-ফল বুক তোমার। কৈশরিক ঝড়ো হাওয়া। এক সমুদ্র ঊন্মাতাল ঢেউ। আমার বুকে নিলে আশ্রয় বিড়ালছানার মত। শান্ত ও লক্ষীমস্ত মেয়ে। আমি বুঝি না এখন তোমার কোন কাল? তবে এ মূহুর্তই একটা কাল হয়ে গেল । না কৈশর না যৌবন নিরেট ভালোবাসাকাল।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।