শ্বাশতী (পাতাকে)
- এ কে সরকার শাওন - কথা-কাব্য ২৬-০৪-২০২৪

সজনী, তুমি চলে যাবে?
এ কথাটা ভাবলেই
আমার জীবন নদীটা
শুকিয়ে চৌচিড় হয়ে যায়।
হাঁহাকার করে উঠে।
অতৃপ্ত এই দেহ-মন
ছটফট করে সারাক্ষণ।
তবুও তুমি চলে যাবে?
নয় কেন?
আজ আমার বা তোমার
কারোই কোন সাধ্য নেই
দু’জন দু’জনাকে ধরে রাখার!
তবে যাও,
পথ নিশ্চয়ই বলে দিবে কি না,
কোন দিন আমাদের ঠিকানা।
হবে কি হবে না!
আমাদের দেখা কোনদিন,
জানি না, জানি না।

তবে আমি নিশ্চিত
আমার স্মৃতির মিছিল তোমাকে
তাড়া করে ফিরবে
যেমনি আমাকে তাড়া করে।
সকালে বিকালে রাত দুপুরে
ফাগুনের আগুন চিরজাগরুক
থাকবে শ্রাবণের সন্ধ্যায় ও
তোমার মনে।
তুমি গুন গুন করে গাইবে-ভাববে
হাঁসবে, কাঁদবে আর
চোখ মুছবে।

পতেঙ্গার এই মুসলিমাবাদ,
সাগরের তীরের উচ্ছ্বল দিনগুলি
ফয়েজ লেক, ১৫ নং ঘাট
কালুরঘাট ব্রীজ, প্রজাপতি পার্ক,
চারুকলা ও ওয়ার সিমেট্রির স্মৃতিমালাগুলি
আমাদের হাতছানি দিবে।
মনের আলোয় আমাকে পাবে চিরদিন
আজকেরই মত।

যদি কোন এক অলস দুপুরেে
একাকী আঙ্গিনায়
কোন এক পাখীর
কন্ঠস্বর শুনতে পাও
জেনো নাও সেই স্বর আমার
এবং শুধু তোমাকেই ডাকছি...

গভীর রাতে নির্ঘুম চোখে,
যদি বাতায়ন পাশে
একাকী বসো;
তখন যদি হিমেল হাওয়া
পরশ বুলিয়ে যায়;
তবে তা আমারই সোহাগী চুম্বন
শতজনমের ভালবাসার পরশ;
যুগে যুগে জনমে জনমে।

শান্ত সকালের পাখির কিচিরমিচির
আমার বন্ধুদের
তোমাকে শোনানো ঘুম জাগানী গান
এগিয়ে চলার আহ্ববান।

যদি কখনো আনমনে চুপটি করে
বসে থাকো পুকুর ঘাটে;
যদি দেখতে পাও
হঠাৎ জল নড়ে উঠে,
তবে তা আমারই কাজ
তোমার মনে রং লাগিয়ে
খুশী করার জন্য।
আমার প্রচেষ্টা সামান্য,
শুধু তোমারই জন্য।

জানো সজনী,
তোমাকে নিয়ে অনেক
কাব্য লিখার ইচ্ছা
যা কোনদিনই ফুরাবে না!
কাব্য মহাকাব্য হয়ে যাবে।
অশেষ তা শেষ নাহি হবে।
তবে তুমি থাকবে
সকল অনুভবে
নিরবে-সরবে-
কলরবে-গৌরবে
আমার বক্ষপিন্জরে নিরন্তর,
অন্তরে অনির্বাণ, শ্বাশতী হয়ে।
০৮.০৯.১৯৯৯ মুসলিমাবাদ, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
http://anirban24.com/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87/

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।