বিক্ষুব্ধ উর্মিমালা
- এ কে সরকার শাওন - আপন-ছায়া ২৭-০৪-২০২৪

চরিদিকে শুনশান নিরবতা!
সূর্যমামা দাত কেলিয়ে হাঁসছে,
সাগর কণ্যা কূয়াকাটার,
বেলাভূমির তপ্ত বালি চিকচিক করছে।
যেমনি চিকমিক করছে আমার মনে
স্মৃতিকণাগুলি তোমার!

বার বার বিক্ষুব্ধ উর্মিমালা
যেমন করে বেলাভূমির বুকে
আছড়ে পড়ে বেলাভূমিকে বিদ্ধস্ত করে;
তেমনি করছে সে বারে বারে!
তাঁর স্মৃতিমালাগুলিও আমার
হৃদয়ের তন্ত্রীগুলো ছিড়ে
আমাকে কুড়ে কুড়ে মারে!

সানগ্লাসটা দুচোখটাকে ভালবেসে
আগলে রেখেছে আমাকে
এই দুঃসহতাপদাহ থেকে।
যেমনি তুমি আগলে রাখো
আমার দুঃখ সাগরের বাঁকে।

একটি গাছের আংশিক ছায়ার
আমি ঠায় দাড়িয়ে;
দৃষ্টি দিগন্তরেখায়
আকাশ সাগরের মিলন প্রান্তে।
এক সময় একট গোটা আকাশ ছিল
আমার হৃদয়সীমান্তে!
আজ সে দূরে বহুদূরে!
জানি না কেমন আছে;
কোথায় আছে।

হয়তো সে তাঁর কক্ষপথে ঘুরছে।
আর সারাক্ষন আমার কথাই ভাবছে।
মুখ ফুলিয়ে রাগ করে বসে আছে।
আমিও প্রতিকুলে অনুকুলে সারাক্ষন
তাঁর কথা ভাবছি।
আমি সারাক্ষন তাঁর অনুভবে থাকি
সেটা সে খোলামেলা প্রকাশ করে।
সে ও তো সারাক্ষন আমার অনুভবে
থাকে, সেটা অনুচ্চারিত ও অপ্রকাশিত।
এ কথাটি তাঁরে
বোঝাই কেমন করে!

এই নির্মল সহজ সরল পাগল
আমাকে ধন্য করেছে
অন্তর তাঁর অতি সুনির্মল।
সে আমায় রিক্ত করেছে
সিক্ত করেছে, অনেক করেছে ঋনী।
আমি তা কায়োমনে মানি,
দিবস যামিনী।
সে যে বড্ড অভিমানী
আমার সকল সুখ-দুখের
কান্না হাঁসির রাগিনী!

ত্রিতুপুরী ঢাকা। ১৬ মার্চ ২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Muztahid
২৬-০৩-২০১৯ ১৬:৪৫ মিঃ

ভালোই কলিখছেন