যাত্রা-১
- শ্রাবণ আহমেদ - বিষাদের দেশে সখ্যতা ২৬-০৪-২০২৪

ট্রেনের কামরায় মুখোমুখি
মানুষ দুজন; বিক্ষিপ্ত
যেন ক্ষয়ে যেতে চাইছে আত্মা!
আলো অন্ধকারে শামিল হয়ে
গুমোট অন্ধকার পালিয়েছে
একটা ক্ষীণ অজানা আলো ছড়িয়েছে
দু'দিকেই
খুব অপরিচিত আলো!
মানুষটি আলখেল্লা পরিধানে
যতটুকুন গলা সমেত মস্তক নামিয়েছে
আত্মার স্বাধীনতা আর বিদ্রোহের আগুন
জ্বলছে একইসাথে
এই প্রথম শব্দসহযোগ ঘটলো
মৃদুস্বরে হাস্যজ্বল চেহারায় বললো
'তবে কি বলছো-সযত্নে ঘৃণা করবো সব স্মৃতি গুলোকে?'
আমি খানিকটা থমকে গেলাম
বললাম 'না'
আরেকটু সাহসী হলাম
বললাম 'না,জীবনের সমান্তরাল রেখাগুলো বক্র,বিপ্রতীপ হয়ে যাক!'

তিনি মোটেও আমার কথাতে ভ্রূক্ষেপ করলেন নাহ্
ট্রেনের জানালা বেয়ে তাকালেন বাহিরে
আবছা আলোয় গাছ বেয়ে উঠা
তিনটি তক্ষকের দিকে ইশারা করলেন
'অতঃপর গভীর শূন্যতায় ডুবে যাওয়া জীবন কে দেখো'
আমি দেখলাম
আমি দেখলাম–
মৃত পাতাগুলি শান্তিতে মাটির বুকে
কি করে ঝরে পরে
অত:পর
একটি তারা হতে অপর একটি তারা
কি করে দূরে চলে যায়

আমি আবার দেখলাম
অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে
এ এক সহজ বিস্ময়!
তবু যখন আবার ভোর হয়
আবার ভোরের শিশিরে আলো
ঝলমলে প্রাচীন মানুষের পায়ের
ছাঁপ দেখি

কিছুটা অন্ধকার কাটলো
চোখ ফেরালাম
মুখোমুখি মানুষটি অঝোরে কাঁদছে
অজ্ঞতার মত চিৎকার স্বরে
হাউ মাউ করে কাঁদছিলেন না

শুধু অঝোরে কাঁদছেন
এক প্রবল রাত্রিকালীন
জলোচ্ছাস মতো!

অসমাপ্ত

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।