নিজেকে বাঁচিয়ে রাখি কেন?
- রাসেল রুশো - ডিসেকশন টেবিলে সম্ভ্রম ও শুচিতার গল্প ২৬-০৪-২০২৪

ডিসেকশন টেবিলে সম্ভ্রম ও শুচিতার গল্প ০৩
মনে করছো নিজেকে হত্যা করে পার পেয়ে যাবে?
অনাদৃতা, কেন মনে হলো পৃথিবী বর্বর? তোমার চোখের কি ক্ষীণতম আলোও নেই জ্বালানোর?
তুমি কোথাকার বাসিন্দা?
বেদনা কতো জমিয়েছো ভিতরে? একটা স্মৃতিও নেই নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার?
দেখো, একটা সমুদ্র, সে কত না একা। অন্য ভাবে দেখো, এর হাজারো জলঊর্মি। আবার দেখো এতে মিশেছে চারদিক থেকে কত বিশাল নদীস্রোত। ভেবে দেখো, এটি তো বিশাল জলভাগেরই একটা অংশ। সে সাগর একা নয় ,তুমিও একা নও।
নেকাবটা সরিয়ে দেখো , আলতো করে হলেও দেখো, অন্তত পরিষ্কার হবে যে তোমার সঙ্গে তোমার প্রভূর নির্দেশ এখনো আছে।
প্রাচীন বেদনার গহ্বরে তুমি দুঃখিত?
তোমার লাল মাংসে অসহনীয় ব্যথা?
তোমার চিন্তা বিস্মৃতি থেকে বেরিয়ে দেখো কোতাও হয়তো ধোপার দল অমানবিক কষ্টকে ধুয়ে দিচ্ছে।
কোনো কোনো মানুষ যে মানুষ নাও হতে পারে তা মেনে নাও, কিন্তু তুমিতো মানুষ হতে পারো।
একবার সামনে তাকিয়ে দেখো আমাদের বেঁচে থাকার উপলক্ষ তৈরিই আছে। তোমার পবিত্র হাতটা সুন্দর পৃথিবীর মাঝে বাড়িয়ে দেখো,
প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি জিনিসে রয়েছে শাশ্বতী।
তবে কেন তুমি নিজের সৃষ্টিকে অতল ধ্বংসের গহ্বরে নিয়ে যাচ্ছো?
পবিত্র নাকে পৃথিবীর ঘ্রাণ শুষে দেখো, আদিম তৃষ্ণা ঠোঁটে এনে দেখো সর্বগ্রাসী রাত্রি মাতে অরুণের নব জন্মে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

rashel_rosu
১৪-০৫-২০১৯ ১১:৫১ মিঃ

#