সেঁজুতি
- শ্রাবণ আহমেদ - বিষাদের দেশে সখ্যতা ২৬-০৪-২০২৪

নিরাসক্তে থাকতে পারা বড় দায়
খুব কাছে টানা দেবীর আবছার মতো
সেঁজুতির বিস্তৃত কালো কেশ
আরও নেমে এসেছে বনভূমি হয়ে
ভালোবাসা যতটা বিস্তৃত
যতটা মুখরিত ভাবি, পরিণত মুখোমুখি
আমরা, প্রাণ জুড়ায় যত দেখি তাকে
কেবল ই অবাক হই!

পরম সৌভাগ্যে বারবার জন্মালে
জলের খেলা শেষে, যখন ফিরি আবার জীবনে,
বৃষ্টির জল ধুপের মাঝেও
দেখি সেঁজুতি ভিজে আছে
সারাবেলা প্রতীক্ষার পর চোখেমুখে
প্রবল ব্যাকুলতা নিয়ে
তখন কেবল ই অবাক হই!

পরিচয়হীন নামটুকুন
নিয়েই বেঁচে ছিলাম
তারপর সেঁজুতি এলো, অনুভূতির শতাংশে-কী যেন
একটা দোল খেলো, ঝাঁকুনির মতো
আমি কবি হয়ে উঠলাম
ত্যাগে-তিথিতে এক ভালোবাসার কবি!
শির নত করে ক'জন কবি
ভালোবাসা মেনে নেয়
সেঁজুতির নরম ঠোঁট তরঙ্গ ভেদ করে
ফিরে যাওয়া নাবিকের মতন দৌড়ে
আসে, আমি নিঃসঙ্কোচ মেনে নিই ভালোবাসা
তখন কেবল ই অবাক হই!

সেঁজুতি, তোমার আর আমার একটা ঝড় আছে
তোমার দ্বিচারিতা বাকহীন কণ্ঠে-
যখন কোন উচ্ছাস থাকেনা,
জানালার রেলিং ধরে
দূরে তাকিয়ে থাকো,
কিংবা প্রেমের মশগুলে মাতিয়ে তুলো আমায়
তখন কেবল ই অবাক হই!

অসমাপ্ত

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।