ট্রেনটির আত্মকথা
- গতিময় রায় চয়ন ২৭-০৪-২০২৪
ট্রেন ছুটেছে তার নিজ গন্তব্যে
ছুটে ধেয়ে চলছে মাঠ-ঘাট
তার পথ আটকায় কে?
সবে পৌঁছলুম একটা স্টেশন
আরো ছেড়ে যেতে হবে দশ কি বারো
অবিরাম ছুটছে ট্রেন তার গতিতে।
একটা সময় ভাবি
যদি ট্রেনটার প্রাণ থাকতো;
এই নিরন্তর ছুটে চলা কি সে মেনে নিতো?
নাকি বিদ্রোহীর মতো বিদ্রোহ করে
বলতো আমিও তো জীব!
হয়তো বলতো
আমার কি বিশ্রামের প্রয়োজন নেই?
তোমরা মানুষ,সবকিছু তোমরা নিয়ন্ত্রণ করো;
তাই বলে কি আমাদের নিজস্বতা নেই?
নেই অধিকার একটু বিশ্রাম করার?
এইতো সেদিন এক বাবুমশায় বলে বসলেন
ট্রেন ব্যবস্থার হয়েছে যত দোষ;
যতসব ফকির উঠে এসেছে এখানে
ট্রেনটা না থাকলে
এদের ঝামেলা পোহাতে হয় না।
আরেকদিন এক বাবু
ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত
বললেন কি দরকার ছিল বাপু
এইসব ট্রেনের?
সময় যদি মিলাতে না পারে
কিসে তার কাজ তবে?
ট্রেনটার ইঞ্জিন নষ্ট বুঝি!
এই যদি হয় অবস্থা
তবে কেন এই যোগাযোগ ব্যবস্থা?
কত দোষ ট্রেনটার!
আর হয়েছে আরেক জ্বালা
ট্রেনে চাপা পড়ে মানুষ মরে,
ট্রেনটা পিষে মারে
যদিওবা আত্মহত্যা!
ভিড় হলেও ট্রেনটা দায়ী
ট্রেনে এতো মানুষ কেন?
ট্রেনটা না থাকলে এই ভিড় কি হতো!
গন্তব্যে যখন ঠিক সময়ে পৌঁছে না
তখনও শুনতে পাই
দেরি না করলে এতো রাত কি হতো?
এত ভয় কি হতো বাড়ি পৌঁছানোর?
ট্রেনটা আজ আস্তে ছুটছে
কী হয়েছে ট্রেনটার?
তার কি মন খারাপ?
হলেও দোষ কিসে
কত অপবাদ শুনতে হয় তার!
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।