সুকান্ত দাদা কেমন আছো?
- মাহমুদ রিয়াদ পলাশ - তারা শংকরের কবি ২৬-০৪-২০২৪
গালে হাত দিয়া বইসা আছো বেশ, থাকো
আমারে কিন্তু বলবানা, কি করিস আজগুবী এই সব?
আমি যদি জানতাম কবিতার তুষ কেমনে ঊড়াইতে হয়
তা হইলে যপনপুথি ছাপাইতাম, ফেরিওয়ালা হইতাম
পুইয়ের বিচি উগরাইয়া নবগ্রামের সড়কের ধারে পাকুড়ের পাতায়
তোমার আর তারাশংকরের নাম লেইখা দিতাম।
আমারে কিন্তু বলবানা, কি করিস আজগুবী এই সব?
তোমার পুরানা কোটের মতন আমার সব কণা পরমাণুর
ডোরা ডোরা উত্থান পতন রেলপথ ধইরা হাটতেছে বছরের পর বছর
নগরের বাজারে একটা নয়া লেবেনচুষের দোকান খুঁজতে।
আমি সেইকালের পুরাতন ঘুমটি ঘরে গিয়া তারাশংকর বাবুরে জিগাইতে চাই
কৃষ্ণচতুর্দশীতে আমার জন্যে দুধের লোটা নিয়া
গোয়ালিনী কি জন্যে বইসা থাকে?
আমারে কিন্তু বলবানা, কি করিস আজগুবী এই সব?
দেখ নাই, গোয়ালিনীর ছেলেটা উদাম গায়ে ঘুরতো?
যেই দিন মরে গেলো সেইদিন সূর্যধনেরে গিলে খাইছিলো নরকের অমাবশ্যা
সবাই তখন কলির কম্বল মোড়ায়া সুবর্ণগ্রামের জাহাজে হুড়াহুরি করছিল
ছড়ি দশেক কলা ঠিকইতো ছিলো ঠাকুরঘরে।
আমারে কিন্তু বলবানা, কি করিস আজগুবী এই সব?
কামলার ধান চিটা হইলো আর বেটির কান্দনে ভরলো সাতটা হাওর
নাখাওয়া বাচ্চাগুলার পাঁজরার হাড়ে দাগ দিয়া ওরা গুনেছিলো ঘুর্ণীর দাদন,
কত কান্দলো গোয়ালিনী তবু সুদে খাইলো গয়লার গরু
তারাবাবুরে একটু কি জিগামু, বলেন, এইটা সে আমারে বলেনাই কেনো?
আমারে কিন্তু বলবানা, কি করিস আজগুবী এই সব?
আমি তো হাল ছাড়ুমনা দাদা, কমুনা কাওরে ওমের ঝাঁপ খোলো,
তারাবাবুর সব গোয়ালিনীর কানে দিয়াদিমু দাদনভেদ শ্লোক,
শুকনা উঠানের তাপ, পাতার থৈলায় লাল লেবেনচুষ।
তুমি একটু তোমার পাশের ছবিটা দেইখা রাইখো দাদা,
টলমল পায়ে হাঁটছিলো সেইদিন, মাত্র আটমাস ছিলো তার বয়স।।
#মাহমুদ_রিয়াদ_পলাশ
৬.৩.২০১৬
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।