রুদ্ররূপী বন্যা
- রূপক বিশ্বাস ২৬-০৪-২০২৪

প্রকৃতি বড় অভিমানী
কখনো রুদ্র কখনো বা শান্ত
তা আমরা সকলেই জানি।
বিহার বয়ে পশ্চিম ছুঁয়ে বাংলায় আগমন
পদ্মার কূলে ইতি পরাগমন।

দিয়ে যায় শত দুঃখ গরিবের ঘরে
ফেলে যায় পলিমাটি জমির ওপরে।
ভেসে বেড়ায় ছোট্টো কুঁড়ে ঘর
অতুলভাসী জল যেন অসহ্যকর।
হাজারও মানুষ ঘর ছাড়া
অট্টালিকায় বসবাস করেনা যারা।

গ্রামের হাল বেহাল
রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘর জলে সমতল।
ডিঙা, নৌকা পথ বন্ধু
স্রোতের বিশ্রাম নেই এক বিন্দুও।
জলধারা বয়ে চলে নিরন্তর
গরিব বা ধনীর নেই কোনো অন্তর।
মনের ক্ষুধায় আসে জল চোখে
একথা বলবো আমরা গিয়ে কাকে?

রাজনৈতিক পদক্ষেপ চিড়া বা মুড়ি
এই খেয়ে নাকি পেট ভরতে পারি।
সময় বুঝে হাত পাতে
ভোট মিলে যেনো তাতে,
মোটা অঙ্ক পকেটে গুঁজে
মিছিলের ক্যানভাস এ।

বুদ্ধিজীবী করে দান কেরল ও তামিলে
বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ যাক যমালয়ে।
নামে খ্যাত, কাজে অধঃপত ---
থাকুক তাদের কোটি কোটি টাকা
থাকুক তাদের গাড়ি যুক্ত চার পাইয়া চাকা
তবুও নেবো না মিনতির ভিক্ষা
ধনের কাঙাল কিন্তু এটাই আসল শিক্ষা।

হোক ধ্বংস হোক
প্রলয়ের ঝড় নামুক, ভেদাভেদ থামুক।
আমি চাই হোক মিল
একই আকাশের জলের তলে
ভেদাভেদ থাকবে না গরিব ধনী কিছু বলে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।