অপরাজিতা
- অলোক হালদার ২৭-০৪-২০২৪

অপরাজিতা
অলোক হালদার

অপরাজিতা
ভুলে গেছো কি আমাদের
পূরানো কথা।
আমাদের সাজানো সেই দিন গুলি
যেন দেবতারা এঁকেছিল
হাতে নিয়ে রংতুলি।
আমাদের স্বপ্ন গুলি।
পাখির ডানায় বাঁধা ছিল
সে দিন
রামধনু থেকেও ছিল রঙিন।
পাখির মত ভেসে বেড়াতাম
আমরা দুজনে
মুক্ত গগনে।
সবাই আমাদের দেখে হিংসে করতো
আমাদের ভালবাসা দেখে ওরা জ্বলতো।
দুজনে যেন ছিলাম এই সৃষ্টির সেরা জুটি
দুজনের ভিতর ছিল না অভাব
ভালবাসা আর প্রিতি।

অপরাজিতা
তোমার কি মনে আছে সেকথা।
যখন আমার ফোন ধরতে দেরি হতো
তুমি চিন্তায় থাকতে কতো।
রাগে অভিমানে
অভিযোগের সুরে কত কথা বলতে ফোনে।
তুমি বলতে," এখন আর আমায় তুমি
ভালবাসো না
আমার কোন কথা তুমি শোনো না।
জান না আমার চিন্তা হয়
তোমায় নিয়ে কত করি ভয়?
মনে জাগে কত সংশয়?
ফোন ধরতে কেন এতো দেরী হয়"?
আরো কতকিছু বলতে
কত সুরে আমায় বকতে।
অপরাজিতা, এখনও কি তোমার
আমায় নিয়ে ভয় হয়?
মনে জাগে কি সংশয়?
আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয়।

মনে আছে তোমার সেসব রাতের
স্মৃতি গুলি
নাকি গিয়েছ ভুলি?
তুমি এক কোনে আমি এক কোনে
কত কথা বলতাম দুজনে মুঠোফোনে।
নিস্তব্ধ রাতে ঘুমাতো যখন শহর
চুপিচুপি কথা বলে কেটে যেত
রাতের প্রহর।
ঠিকই পেতাম না কখন হয়ে যেতো ভোর।
কত গল্প,কত হাসি ঠাট্টা করতে
তোমার জীবনের ভুল গুলো
আমায় তুমি বলতে।
মাঝে মাঝে কান্না মেশানো কন্ঠে
শুনতে পেতাম তোমার সুর
আমি নিস্তব্ধতায় শুনে যেতাম বসে
তোমার থেকে দূর বহু দূর।
আমারও না তখন খুব করে কান্না
আসতো
অজান্তে কখন চোখ থেকে জল ঝরতো।
আজ এখনও ঝরে
তোমার জন্য
তুমি চলে গেছো
হৃদয় হয়েছে শূন্য।
সেই শূন্যতা বুকের ভিতর টা
হু হু করে ওঠে
মনের কপাটে।
তখন কাঁদি
খুব কাঁদি।

অপরাজিতা
খুব জানতে ইচ্ছা করে একটি কথা।
তুমি এখন সুখি তো
এখন তোমার যে আছে সে কি তোমায়
ভালবাসে আমার মতো।
নাকি এর থেকে ও বেশি
ভালবাসে দিবানিশি।
মাঝে মাঝে মনটা ভিষণ চিন্তা করে
তোমার ঐ চোখে কখনো জল না ঝরে।
আমি সব সহ্য করতে পারি
আমার না মেটা হাজার বায়না
আমি পারি না সহ্য করতে
তোমার চোখের কান্না।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।