পুঁজিবাদী
- শেখ রবজেল হোসেন ২৭-০৪-২০২৪

আমার চাষীর সোনার ফসল পুড়ে হলো ছাই,
সঠিক সময় হয়নি কাটা উঠলো না গোলায়।
বীজ বুনতে গরু বেচা সার বুনতে লোন,
সেচের পানির জন্য দিলো ফসলের দাদন।
এমনি করে ফসল যখন পাকতে শুরু করে,
ভিন দেশেরই খাদ্য এসে আমার দেশটা ভরে।
তুলতে ঘরে সোনার ফলস শ্রমিকের অভাব,
কম দামেতে শস্য বেচেও চাষীর হয় না লাভ।
খাদ্য যখন কম পড়ে ভাই তখন গুদাম বন্ধ,
দেখে শুনেও সকল বনিক হয়ে থাকে অন্ধ।
মুখের বুলি আওড়াতে যে নেইকো কোন ভ্যাট,
কৃষক মেরে MB কিনে করেন সবাই চ্যাট।
গরীব দুঃখী খুশী থাকে দাম কমলে চালের,
বড় লোকের টাকা বাড়ে দাম বাড়লে মালের।
ধনী গরীব ভেদাভেদ আসবে জোরে সোরে,
কৃষক শ্রমিক দিন কাটাবে অর্ধ অনাহারে।
কোটিপতি ঋণ নিয়ে ভাই ঋণ খেলাপী হয়,
জনগনের ভ্যাটের টাকায় আখের সে গোছায়।
আয়ের কর ফাঁকি দিতে বড়লোকের ফন্দি,
কৃষক শ্রমিক এখন সবাই ওদের হাতেই বন্দী। সুযোগ বুঝে মাফ করে নেয় লোনের টাকা যতো,
নিয়ম ছাড়াই চলছে এরা সত্যি যে যার মতো।
সঠিক নিয়ম মেনে যদি চলতো কোটিপতি,
কৃষক শ্রমিক দরিদ্রদের হতো না দুর্গতি।
বিনা শ্রমে নেতার ঘরে কোটি কোটি টাকা,
মুখে বলে জনসেবা ভিতরটা তার ফাঁকা,
আমলা সহ চেলা পেলার কোন চিন্তা নাই,
বিপদ এলে তারা গড়ে ভিন দেশেতে ঠাঁই।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।