ঝরা ফুল
- রফিকুল আলম - ভালোবাসার নিঃশব্দ কথন ২৬-০৪-২০২৪

সংসদ ভবনের দক্ষিণের মসৃণ কপালের
পথ ধরে হাঁটছিলাম
সবুজ গালচের জমিনে
মুসান্ডা গাছের নীচে বসেছিল একা
আমাদের কলেজের ষ্ট্যান্ড করা মেয়েটি।
কালো শাড়ী পরে উদাসী চোখে
সাধারণ অতি সাধারণ বেশে
তারপরও দেখে মনে হচ্ছিল যেন
বৈকালিক প্রভায় পূর্ণিমার চাঁদ
নেমে এসে মুসান্ডার নীচে
ঢেলে দিচ্ছে তার জোছনা।
প্রশ্ন জাগে, এভাবে এখানে কেন?
তারতো এখন মেডিকেলে পড়ার কথা।
এগিয়ে গিয়ে সাথী হলাম।
বললো শুনতে চেওনা ------- তারপরও শুনতে চাও!
তবে শোন-------
চিকিৎসা বিদ্যা নেয়ার আগেই
মেহেদীর রঙ লাগিয়ে
কনকের অলংকারে সাজিয়ে
বেনারসীর কাফনে মুড়িয়ে
কবর দিয়েছে আমাকে
এক রসায়নবিদের বুকে।
শাস্ত্রে মহাপন্ডিত হতে
গেলেন তিনি বিদেশে
সাথী আমি সাথে, বন্ধ করে লেখা পড়া।
ফিরে এলাম একদিন রমণীয় অহংকারে
পি এইচ ডি স্বামী সাথে।
যদিও বিদেশের দিনগুলি ছিল তার
চরম উশৃঙ্খলতার
মনের জন্য জীবনের হুন্ডি কেটে দিয়েছি অনেকবার।
আদায় করেছে সবকিছু
ফুলদানিতে ফুল রেখে হাসি আদায় করার মত।
ধুপের মত গন্ধ বিলিয়ে ছাই হলাম
প্রসূনের মত বিলিয়ে নিজেকে বাসী হলাম
ঝরে পড়লাম শিউলী শিমুলের মত
একটি রেজিষ্ট্রী খাম পেয়ে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

123-123
১৬-১২-২০১৯ ১২:২৭ মিঃ

সুন্দর।