প্রথম সুখের পরশ
- দজিয়েব ২৭-০৪-২০২৪

নিজের স্তনে হাত রাখে মেয়ে
বৃন্ত দুটিকে ভালো করে দ্যাখেঃ
গোলাপি আভার হালকা ছোঁয়া
আর কালো লেগে আছে।
আয়নায় নিজেকে দ্যাখে সে-
উলঙ্গ উর্ধাঙ্গ; বলে ওঠে মৃদুস্বরে,
"আমাকে ভালবাসো প্রিয়!"
এভাবেই আগাই সে,
ধীরেধীরে নামে নিচে;
নাভির কাছে এসে থমকে দাঁড়ায়-
ফের ফিরে যায় বুকে,
নখের আঁচড় কাটে-
এতো শিহরণ মর্দনে!
গভীর নাভিমূলে তাকায় আবার,
ভাবে, "এতো সুন্দর!"
এভাবেই শুরু হয়-
পাজামাটা খুলে ফ্যালে ধীরে।
উন্মুক্ত হয়ে পড়ে জীবনের আদিম রহস্য,
এক হাত নেমে আসে নিচে,
বিলি কাটে সদ্য ওঠা চুলে;
তারপর নেমে যায় আরো
আদিম ছোঁয়ায় জাগে ভগাঙ্কুরও।
মেয়ে পেয়ে যায় সুখের ঠাহর
অসীম আনন্দে ভোগে,
হাত চলে জোরে,
দুটো আঙুল ঢুকে যায় যোনীর ভিতর-
মেয়ে শিউরে ওঠে;
অনুভব করে কোনো তীব্র ব্যথা
মুখ ফসকে বেরোই চিৎকার,
মেয়ে কুঁকড়ে ওঠে;
ব্যথাটাকে তবু পেতে চায় আরো
গভীরতর কোনো প্রিয় মানুষের কাছে।
এভাবেই চলে কিছুক্ষণ,
মুহূর্তে পৌঁছে যায় চরমসুখে
ছাড়ে কামরস-
জীবনের প্রথম স্বমোহন।

(কবির বক্তব্যঃ আমি ওয়াকিবহাল যে এটাকে অশ্লীল বলে আপনারা দাবি করতে পারেন। আমার একমাত্র যুক্তি এই যে, পঙক্তিগুলো যখন নিজে থেকে ধরা দেয়, না লেখার দুঃসাহস দেখাতে আমি পারিনা। কবিতা অনুভূতি নিয়ে কাজ করে। আর এই কবিতায় যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা আশা করি আমাদের সবারই আছে। অবাস্তব অনুভূতির বুনিয়াদ হলে আমি প্রকাশ করতাম না। তাও যদি কোনো অভিযোগ আপনাদের থেকে থাকে, আমি এটাকে মুছে ফেলব। আপনার অসুবিধার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।)
-১৯.০৪.২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।