একটি প্রেমের ইতিকথা
- রনি পারভেজ - নীল খামের চিঠিতে আলোড়ন ২৭-০৪-২০২৪
আমি ধ্রুব
সেই ছেলেটা যে একদিন
তোমার উড়না নিয়ে পালিয়ে ছিলাম।
মনে আছে?
তুমি কাঁদছিলে কেন তা জানি না
স্যার আমাকে ভীষণ মেরে ছিল,
আর বলে ছিল শয়তানপনারও-
সীমা থাকা উচিৎ!!!!
কিন্তু তিরষ্কার শুনে খারাপ লাগে নি
খারাপ লেগেছিল
তোমার অশ্রুসিক্ত চোখ দুটো দেখে।
ছোট্টবেলা থেকেই কেন জানি তুই
আমার ভালো থাকার
প্রেসক্রিপশন হয়ে ছিলিস,
আর এখন তো_!!
আজকে তেরো বছর পর
আমি তোকে দেখলাম
বন্ধুরা চিনিয়ে না দিলে
হয়তো চিনতামই না।
ঠিক আগের মতই তুই
একটু বেশীই মিষ্টি,
শুধু ভাবছিলাম কোনো মতে যেন
ডায়াবেটিকস না হয়ে যায় আমার।
একবার তাকালি আমার দিকে
কিন্তু চিনতে পারলি না যে
চলে গেলি.....
আমি থ মেরে তাকিয়ে থেকে
তোর চুলের ঝাকুনি দেখছি।
শুনলাম তুই আজও একা
মানে কোনো রিলেশনে জড়াস নি,
অবাক হলাম একটু
তেরোটা বছর....
কম তো আর না।
আমিও আগের রোগটাতেই ভুগছি
তোকে নতুন করে দেখে,
রোগের মাত্রা টা কেমন জানি
একটু বেড়েই গেল।
তাই তুই যখন ভালো থাকার প্রেসক্রিপশন
তোর হাসপাতালের I.C.U. এ জায়গা
নিতে পারলে মন্দ হয় না, কি বলিস?
কার মুখে শুনেছিস
ধ্রুব এসেছে.....
সেকি বাসায় এসেই হামলা!
ছোটকি বোনটা না বললে
আমিও জানতাম না যে,
তুই আমার খোঁজ করছিস
ভাবা যায়?
এই ধ্রুবই একদিন তোর
চোখের বালি ছিল,
আর এখন তার খোঁজ শুরু...
আমি এখন পর্যন্ত চারবার
তোর সামনাসামনি হয়েছি
তেরো বছরে কি এতোই বদলেছি
যে চিনতেই পারলি না;
আর চিনবি কি করে
এখন তো আর উড়না নেবার জো নেই!
কিন্তু মনটা ঠিকই নিয়ে রেখেছি.........
আজকে ভালোবাসা দিবস,
অর্পা তোকে ফোন করছি আমি
রাস্তার ধারের সেই আমলকি গাছের তলায়
আমার সব বন্ধুরা ক্যামেরা,
কেক,বাজি,পার্টী স্প্রে সব নিয়ে হাজির।
আজকে তোকে একরাশ গোলাপ দিয়ে
তোর মনের I.C.U. এর
চিরস্থায়ী রোগী হয়ে যাবো।
অতঃপর তুই আসলি
আমায় দেখে তো পুরো আবাক
আমাকে চিনতেই পারিস নি।
শেষমেশ "Arpa, do you marry me? I love you."
লেখকঃ #JD
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।