গৃহবন্দী
- মাহমুদ রিয়াদ পলাশ - তারা শংকরের কবি ২৭-০৪-২০২৪

গেরামে যেমন সইন্ধ্যা রাইতেই গহীন আঁন্ধাইরে
হারাইতো গাঁয়ের পাড়া, গাছ গাছালির ডাল ছিঁড়া
কুক্কা পাখি কি কুলক্ষইন্যা ডাক দিয়া উইড়া যাইতো
কুপ্পি বাতির কাঁপা কাঁপা আলো
টিনের ঘরের বেড়ার উপর আমরার ছায়া নাচাইতো
নানীজানের বাসনা তেল মাখা
ভয়ংকর রাক্ষসের গপটা শেষ হইতেই
আম্মার আঁচলের তলা খুঁজতে খুঁজতে
উগাড়ে ধানের ডোলের পিছে আলো আন্ধাইরের
টিলো এস্প্রেস খেলা দেইখা
শইল্যের লোম্বা কাঁটা দিতো
চোখজুইড়া কি ঘুম আইলো কি আইলো না
কেডা জানি ওইখান থাইক্যা উঁকি মারে
আম্মার বুকের মইধ্যে আমি জড়সড়
মা'র ওম দেইখ্যা পালায় ডোলের পিছের শকসো।

আমাদের জনশুন্য নগরে আজ সেই একই রকম
সন্ধ্যায় গভীর রাত, ল্যম্পপোষ্টের আলো আধাঁরীর
লুকোচুরি খেলা দেখতে দেখতে
গা বুঝি ছমছম করে, কি যেন আশংকায়
রাত আরো বাড়লে গলির নির্ভিক কুকুরেরা
সিংহের মতো বুকফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
চোখজুড়ে ঘুম আসতে আসতে, ছায়ার মতো কেউ কি নড়ে ওঠে। আমি ভয়ে আড়ষ্ট হই।
না আর সে ওম আমাকে জড়িয়ে ধরেনা
বিছানার রংগীন চাদরে সেই ওম নেই,
তোমার বুকের গহীন আর আগলে নেয়না, কপাল জুড়ে চুমু দেয়না, বয়োবৃদ্ধ চাঁদমামা আসার আগেই
ছায়াটা আমায় তাড়াকরে ফেরে সারা নগর।
আমার ভয় আর কাটেনা, মা।

#মাহমুদ_রিয়াদ_পলাশ
০৭.০৪.২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।