চিরমুক্তির ফরমান
- মিটু সর্দার ২৬-০৪-২০২৪

তোমার কি লজ্জা হয়না স্বাধীনতা?
লজ্জা হয়না তোমাদের যারা গর্বিত বুকে বলো মোরা স্বাধীন?
গর্ভবতী স্ত্রীর সম্মুখে স্বামীর পায়ের রগ কেঁটে
রড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে চোখ তুলে নেওয়া
আকুতি মিনতি করে প্রাণ ভিক্ষে মাঙ্গার পরও ভিক্ষে না দেয়া
অনাগত সন্তানের সম্মুখে মায়ের স্পর্শ কাতর স্থানে স্পর্শ
কোরবানির পশুর মতো ধাপড়াতে ধাপড়াতে পিতার দেহ নিথর হওয়া।
হাতেপাতে ধরেছে, বাপ ভাই চাচা ডেকেছে
ভিক্ষে চেয়েছে জান, শুনেও শুনেনি তোমাদের কান
পায়ে ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়েছো দীর্ঘপথ
জলদি বিদায় করতে জলে ফেলতে চেয়েছিলে আপদ
কতো জানি ডেকেছিল আল্লাহ-রে
সইতে না পেরে চিরমুক্তির ফরমান করে দিলেন জারি
পরপারে দিলেন জনমের তরে পাড়ি।

ছিঃ স্বাধীনতা ছিঃ!
আমার আর গর্ব হয়না তোমাকে নিয়ে
একবার যদি হাতের মুঠোয় পেতাম গলাটিপে
না না, ভুক্তভোগীর সম্মুখে শূলে চড়িয়ে জ্বালা মিটাতাম।
কারা পরিয়েছে স্বাধীনতার পায়ে শেকল বেড়ি?
গোলাম বানিয়ে রেখেছে স্বাধীনতাকে
এমন স্বাধীনতা সবাই চায়লেও আমি চাইতে পারিনা।
মুখোশের আড়ালে বীভৎস মুখ লুকিয়ে মঞ্চ কাঁপিয়ে
লেংটি গুটিয়ে ব্যস্ত স্বাধীনচেতার স্বাধীনতা হরণে।
কে এনেছিলো তোমায়? হে স্বাধীনতা
স্বাধীনতা নাকি জন্মসূত্রে অধিকার
স্ত্রীর সম্মুখে স্বামী, অনাগত সন্তানের সম্মুখে পিতা হত্যাও হত্যাকারীদের স্বাধীকার।
বাহ্ স্বাধীনতা বাহ্
এমন দৃশ্য দেখার পর তোমার আত্মহত্যা করা উচিত ছিলো
তারপরও তুমি জামাই আদরে আদরিত হও আঠারো কোটি মানুষের গৃহে
তোমাকে আনতে গিয়ে যারা রক্ত ঝরিয়ে ছিলো তারা কাঁদে আজ অন্তরালে।
স্বাধীনতা তুমি দুমুখো সাপ
যারা তোমায় দুধেভাতে পালে তাদের অপকর্ম আড়ালে আবডালে রেখে পূর্ণ স্বাধীকার দাও
অসহায়, নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের রক্ত ঝরাও।
স্বাধীনতা তুমি আজ দাবার গুটি হয়ে গেলে
সবলের হাতের মুঠোয় থেকে দুর্বলের উপর আঘাত করতে কুণ্ঠাবোধ করোনা
বাহ্ স্বাধীনতা বাহ্,
তোমাকে পেয়ে ধন্য তারা
তোমাকে ব্যবহার করে ক্ষমতার অধিপতি যারা।

৩০ মার্চ ২০২২

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।