বুকের দরজা
- রশিদ হারুন ২৭-০৪-২০২৪

প্রতিদিন ঘুম থেকে খুব আশা নিয়ে জেগে উঠি,
আজ আমি তোমাকে বলে ফেলবোই,
মনে হয় সুখগুলো বুকের দরজায়
সারা রাত অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে,
বুকের দরজা খুললেই লাজুক ভাবে ঢুকে পরবে বুকে,
আমাকে আলিঙ্গন করবে অহং আর দ্বিধা ঝেড়ে।


খুব ভালোলাগা নিয়ে বুকের দরজাটা খুলে দেই,
তারপর,
তারপর প্রতিদিনের মত শূন্য দরজায়
নিজের বিরহের ছায়া দেখি,
অহং আর দ্বিধা আমাকে আবারও বিভ্রান্ত করে,
তখনই প্রচণ্ড কষ্টের জাপটা,
আমার চোখ, মুখ, বুকের মাঝে আঁচড় দিয়ে যায়
আমার মন খারাপ হয়ে যায় মুহূর্তে।


মনোলীনা,
আমার বুকের শূন্য দরজায়
কষ্ট বসতি গড়ে,
আমার বুকের শূন্য দরজায়
অভিমান কড়া নাড়ে,
আমার বুকের শূন্য দরজায়
পাপ বারবার উঁকিঝুঁকি দেয়।
আমার বুকের শূন্য দরজায়
আমার বুক মরতে শুরু করে।


মনোলীনা,
আমার যৌবনের পাপ হবে
যদি অপেক্ষায় থাকতে থাকতে
শূন্য দরজা আর সহ্য না হয়,
যদি একদিন ভুল মানুষের কাছে
বুকের দরজা খুলে দাঁড়াই।


মনোলীনা,
কেউ তো দিব্যি দেয়নি,
শুধু পুরুষ মানুষকেই কেনো বলতে হবে?


নারী, তুমিও তো পুরুষ মানুষের বুকের দরজায়
একবার কড়া নেড়ে বলতে পারো
“ভালোবাসি”
না হলে তোমার যৌবনের ও পাপ হয়ে যাবে একদিন।
----------------------------------
রশিদ হারুন
০১/১১/১৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।