প্রতিশ্রুতি
- মিটু সর্দার ২৬-০৪-২০২৪

এই যে এমপিকে দ্যাখছেন
বক্তৃতা দিয়ে মাইক ফাটিয়ে ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন
ক্ষমতায় যাওয়ার আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
ক্ষমতায় গিয়ে তার নির্বাচনী এলাকার বেকার সমস্যা মিটাবেন।
আম-জনতা সোনার হরিণের লোভে বেঁধেছিলো জোট
হুমড়ি খেয়ে দিয়েছিলো ভোট --
ক্ষমতায় গিয়ে পদদলিত করেছে পায়ে পরিধানে বুট।
নিজ দলের কর্মী করে বাছাই, চাকুরী দিয়েছেন তাদের সাঁই
আমিও সোনার হরিণের আশান্বিত ছিলাম ---
এমপিকে জনগণের এমপি ভেবেছিলাম
শতাধিক দরখাস্তের প্রবেশপত্র ল’য়ে এমপির দারস্থ হয়েছিলাম।
লোকমুখে শুনেছিলাম এমপি সৎ
অন্যদের মতো টাকা খায়না গদগদ
আশা ছিলো বুকে, গরীব বুঝি এবার দিন কাটাবে সুখে
চাকুরী পাবার প্রত্যাশা ছিলো মোর বুকে।
এমপির কাছে যেতে টিকিট লাগে ভাই
টিকেট ছাড়া এমপির হদিস মেলা দায়
যাঁরা করেন টিকেট কারবারি
গোপনে তারা-ই করে টাকার কারসাজি।
চাকুরীর আশায় থেকে, বয়স গেলো মোর পেকে
কোন দল করি দ্যাখেছিলো ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে
এমপির কানে কারা যেন কানমুখ করে ছিলো
দল করে জামাআত-শিবির --
চাকুরীর পিছনে হাঁটছে নিবিড়।
ছোটবেলায় ছাঁই ঢেলেছি রাজনীতির নোংরা মাথায়
আমার নাম ছিলোনা পোস্টারের কোন পাতায়
যাঁদের নাম ছিলো এমপির খাতায়
যাঁরা তেল মেখেছিলো তৈলপ্রিয় এমপির পাছায়
তাদের মিলেছিলো চাকুরী নামের সোনার হরিণ।
মিথ্যে শুনিনি ভাই ---
ঝাড়ুদার কিংবা পেয়াদার চাকুরীতে পাঁচ লাখ ঘুষ চায়
এমপি না, এমপি না ---
যাঁরা এমপির বেয়ারা, তারা এমপির খুব পেয়ারা
এমপির চক্ষুড়ালে খায় ঘুষ --
নির্বোধ এমপি রাখে না তার কোন খোঁজ।
আমি দ্যাখেছি, আলবৎ দ্যাখেছি
জমি বিক্রি করে মেটাতে ঘুষের লেনদেন
আজকাল এমপি-মন্ত্রীরাও চাকরি দেন।
চাকুরির বাজারে এমপি-মন্ত্রীর যাঁতাকলে
কতো মেধাবী গিয়েছে ঝরে ---
মেধাহীন দিয়েছে পকেট ভরে --
চাকুরী গিয়েছে মেধাহীনের ঘরে।
এমপি-মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে করতে পারেনি যতন
জাতি হারিয়েছে অমূল্য রতন ---
অচিরেই হবে এমন জাতির পতন।
এমপি-মন্ত্রীকে জনতা পাঠায় সাংসদে
জনকল্যাণ মূলক আইন করতে তৈরী
এমপি-মন্ত্রী পথচলে সাথে ল’য়ে লহরি
দরজার সম্মুখে দাঁড় করিয়ে রাখে প্রহরী।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।