মুখোশের আড়ালে মুখ ঢেকে
- মিটু সর্দার ২৭-০৪-২০২৪

চক্ষুড়ালে থেকে অনেকের নামে অনেক কিছুই বলা যায় কিংবা লিখা যায়
যাঁরা বাপের বেঠা ---
যাঁরা সত্যিকারের মায়ের স্তনের দুগ্ধ পান করেছে
তারা কখনো চক্ষুড়ালে থেকে প্রতিবাদ করেনা, তারা বুক ফুলিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে চোখে আঙুল দিয়ে সত্য দেখিয়ে দেয়।

প্রতিবাদীরা কখনো খোলাস পরিবর্তন করে না কুলাঙ্গারেরা চক্ষুড়ালে থেকে মানুষের কুৎসা রটাতে পছন্দ করে
একবার সত্যের উপাসক আর সমাজের প্রতিবাদী হ'য়ে দেখুন -----
পিঠের ছাল থাকবেনা ----
সব উঠে যাবে মিথ্যের চাবুকের আঘাতে ।

মানুষের চড়াই-উতরাই হজম করতে শিখুন, দেখবেন পৃথিবী সত্যিই অনেক সুন্দর ;
একবার মানুষকে ভালোবেসে কাছে টেনে দেখুন,
সত্যি পৃথিবী অনেক মনোহর, মনোমুগ্ধকর ;
কুলাঙ্গারেরা চায়নি আমি ফিরে আসি আমার বিভৎস অতীত থেকে
আমি ফিরে আসি সেই সাম্রাজ্য থেকে ---
আমি নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলি মদে ভরপুর পেয়ালা।

কুলাঙ্গারেরা চায়নি আমি ডুব-সাঁতার কাটি কবিতার সমুদ্রে;
খেলা করি শব্দ সফেনে ---
আমার সাফল্য কিংবা চড়াই-উতরাই দেখে নিন্দুকের গা জ্বলে;
হিংস্রতা উথলে ওঠে ওদের হৃদয়ের ভাঁজে।
আমি কখনো কবি-র দাবী নিয়ে আপনাদের মাঝে আসিনি
আমি বলিনি আমাকে কবি ব'লে ডেকো।

আমি আপনাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই
আপনাদের সমালোচনা আমার কলম ক্ষুরধার হয়
আর পরনিন্দা আমার হৃদয় ভালোবাসার বীজ বুনে
একদিন অংকুরিত হয়ে বটবৃক্ষের মতো ছড়িয়ে যাবে।
আপনারা হলেন কুনোব্যাঙের মতো ---
ঘরের কোনে বসে পৃথিবী দ্যাখতে চান
আপনাদের হৃদয় নোংরা, বিবর্ণ আর কলঙ্কিত --
কবিদের হৃদয় বিস্তৃত পৃথিবী হতে মঙ্গল কিংবা সীমাহীন।

পর-সমালোচনা যতোটা সহজ ---
আত্ম-সমালোচনা ঠিক ততোটা কঠিন ---
অল্পতেই অন্যের খুঁত খুঁজে বের করা যায়
একবার আত্ম-সমালোচনা করে দেখুন নিজে কতোটা নিখুঁত।
মুখোশের আড়ালে মুখ ঢেকে
মাতালের মতো আবোল-তাবোল অনেক কিছুই
লিখা কিংবা বলা যায় ---
মুখোশ সরিয়ে সম্মুখে এলে বুঝা যাবে ---
বুকের অলিন্দে কতো-টি পাঁজর আস্ত থাকে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।