অদ্ভুত এক সমাজ
- মিটু সর্দার ২৭-০৪-২০২৪

ধীরে ধীরে ক্যামন এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি
বাড়িতে ইমারত না থাকলে নাকি সমাজ বুঝে-না
পাত্র পক্ষ এসেও শুনিয়ে যায় নানান কথা --
বিল্ডিং নেই, বাথরুম নেই, কিচেন নেই।
এমন বাড়িতে ছেলে বিয়েসাদী করাবেন না
সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না
আধুনিকতা বুঝে-না, সভ্যতা বুঝে-না ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাড়িতে ইমারত থাকলেই কি মানুষ ভদ্রলোক হয়ে যায়?
জরাজীর্ণ খুপরিতে যাঁরা বাস করেন তারা অভদ্র
আনকালচারার, আনস্মার্ট, গেঁয়ো ---
আজকাল মাদক কারবারিও ইমারত গড়ে,
সভ্য সমাজে ভদ্রলোক সাজে।
টাকা আর ইমারত এই দু'টো হলেই হলো --
কালো কিংবা সাদা, যাচাইয়ের মানদণ্ডের প্রয়োজন নেই
পয়সা হলে যশ, খ্যাতি এমনিতেই ঘরে আসবে
বৈধ-অবৈধ, হারাম-হালাল এইসব ধার ধারেনা এই সমাজ।
ধারবে-ই-বা ক্যানো, এ-তো সমাজের ব্যামো
সমাজ কি আর শুদ্ধ মানুষ চালায় নাকি?
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হেমলকের বিষক্রিয়া
ইতর-মেথর মেরুদণ্ড, গুণীজনের কন্ঠরুদ্ধ
হারামে প্রলুব্ধ, সবাই দুরারোগ্যের রোগী
কে করবে আরোগ্য, কে পিলাবে সুস্থতার সিরাপ?
আজকাল কেউ ভেতরটা দ্যাখেনা
বাহিরের চাকচিক্যতা দ্যাখে মুগ্ধ হ'য়ে যায়
ইমারত আর পয়সাওয়ালা বাড়ির পাত্রী চায়
ভিক্ষুক সেজে যৌতুক নামের ভিক্ষে আরজ করে।
ভিক্ষে মেটাতে না পেরে কতো নারী হয় স্বামী পরিত্যক্তা
কতো সন্তান হয় মা হারা -- পিতা হয় সর্বস্বান্ত।
অদ্ভুত এক সমাজ গড়েছি --
আইন প্রণয়ন করেছি নিজের স্বার্থে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।