ঝরা পালকের মতো
- মিটু সর্দার ২৬-০৪-২০২৪

প্রতিটি বাবা-ই উচ্চাভিলাষী
ছেলেকে মানুষ করতে কঠোর পরিশ্রম করেন
কখনো কখনো পাঞ্জা লড়েন মৃত্যুর সঙ্গে।
আমি যখন খুব ছোট তখন থেকেই বাবা বলতেন
"তোমাকে একদিন আকাশ ছুঁতে হবে "
সেইদিন এই কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতাম না।
আমি যখন পড়তে বসতাম, বাবা পাশে বসে থাকতেন
স্বপ্ন দ্যাখতেন ছেলে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে
বাউণ্ডুলে, পড়াশোনায় একদম মন বসতো না আমার।
অলিগলি ঘুরে বেড়াতাম, ঘুড়ি উড়াতাম আকাশে
শার্টের বোতাম খুলে দাঁড়িয়ে থাকতাম দক্ষিণা বাতাসে
বাড়ি ফিরতে দেরি হলে বাবা বেরুতেন আমার তালাসে।
কতো তাঁরা আকাশে জ্বলে, সব তাঁরা কি কথা বলে
সব পাখি কি আর ফিরে ঘরে, কিছু মরে ঝড়ে
আর কিছু আহত পাখি গুমরে কাঁদে।
বাবাও আমাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেছিলেন
অঙ্কুরিত হতে পারিনি, সাজতে পারিনি সবুজ পল্লবে
ঝরা পালকের মতো ঝরে গিয়েছি মুকুলে।
উচ্চাভিলাষী বাবার উচ্চাকাঙ্খা --
স্বপ্নবিলাসী বাবার স্বপ্ন ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ করে
অবশেষে, ছেলে হলো দুই পয়সার কবি।
পড়ন্ত বিকেলে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বাবা ভাবে
কখনো কি হতে পারবে নজরুল কিংবা রবী
কেউ কি ভালোবেসে দেয়ালে টাঙাবে তার ছবি
কবিতা লিখা ক্যানো হলো নির্বোধের হবি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।