একগুচ্ছ ভালোবাসার কবিতা
- বিচিত্র কুমার ২৬-০৪-২০২৪

(০১)
ভালোবাসা
– বিচিত্র কুমার

ভালোবাসা একটা অনুভূতি
যা মনের সাথে মনের একটা টান,
ভালোবাসা সুখের একটা স্বপ্ন
কিম্বা বুকে লেখা কারো প্রিয় নাম।

ভালোবাসা যেন একটা উড়ন্ত প্রজাপতি
সুদূর থেকে দেয় শুধু হাতছানি,
দিবানিশি তার জন্য শুধু ছটফটানি
কিম্বা হঠাৎ আকাশের বুকে দুফোঁটা পানি।

ভালোবাসা হচ্ছে মনের মধ্যে লুকানো একটা স্বপ্ন
যা একজন লেখকের অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির মত,
কেউ লাইফে প্রকাশ করতে পারে কেউবা পারে না
সবাই শুধু অনুভব করতে পারে একান্ত।

(০২)
প্রেমের অভিষেক
– বিচিত্র কুমার

সেদিন ফাগুনের চিকিমিকি রৌদ্রে হঠাৎ তুমি
চেয়ে চেয়ে আমার হাতটি ধরে বলেছিলে,
ঐদেখো আকাশের বুকে অপরূপ রংধনু উঠেছে
পিছনে বাগানে রকমারি ফুল ফুটেছে হেসেখেলে।
জানো ওদের না আছে বাবা মার ভয়,
কিম্বা না আছে কলঙ্কের ভয়।

তখন হয়তো বা তোমার কথাগুলো ঠিক বুঝতে পারিনি
হঠাৎ যেন এক নতুন পৃথিবী কেঁপে উঠেছিলো আজানা ভূমিকম্পে,
আমাদের দুজনার খুব তৃষ্ণা পাচ্ছিল অতৃপ্ত আকাঙক্ষায়
মিষ্টি একটা গন্ধ পাচ্ছিলাম দুজনে পাশাপাশি বসে ক্যাম্পে।
আমাদের মধ্যে কোন দৌরাত্ব ছিলো না,
কিম্বা খুব একটা দূরত্বও ছিলো না।

দুর্বোধ্য ভাবনাগুলো তখনও অন্ধকারে হামাগুরি খাচ্ছিল
পাতার ফাঁকে লুকিয়ে লুকিয়ে গাইছিল বুলবুল,
সুদূর থেকে ভেসে আসচ্ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীতের মিলনের সুর
ভ্রমর আর প্রজাপতি ফুলের পাপড়ির উপর করচ্ছিল ছুলবুল।
আমি তোমার দু পায়ের নূপুরের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম,
অবশেষে আমি তোমার দুষ্টু চাহনী বুঝতে পেরেছিলাম।

(০৩)
বসন্তের কোকিল তুমি
– বিচিত্র কুমার

তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে
একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে,
তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি
অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে।

সে চলার কোন শেষ সীমা নেই
তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে ,
কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে
একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে।

এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে
তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে,
শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে—

যেদিকে তাকাই —
ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পড়ে
বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে,
তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায়
উতলা ভালোবাসার সীমান্তে।

(০৪)
মাধুরী
– বিচিত্র কুমার

তোমার মুখটি দেখেছি আমি
এক জোছনা মুখোরীত উজ্জ্বল নোভাতে,
তুমি হাতে হাত রেখেছিলে স্বপ্নে
হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল চমকে প্রভাতে।

পাখির কলকালরির মতো তোমার কণ্ঠধ্বনি
শুধু এসে দু'কানে পড়ে,
আমি উঠিউঠি ভেবেও উঠতে পারি না
দু'চোখে শুধু দুষ্টুকল্পনা ঘোরে ফিরে।

অবশেষে তুমি একাকী পালিয়ে গেলে
দিনের আলোয় লজ্জা পেয়ে,
তোমার দীঘলকালো চুলগুলো পড়ছিলো
আমার চোখে মুখের পর চেয়ে চেয়ে ।

ও যেনো ছিলো এক নীলকণ্ঠ পাখি
খিলখিল করে হেসে চলে গেল মাধুরী,
মুখ তার চাঁদের মতো শিল্পীর আঁকা ছবি
ইচ্ছে করে ভলোবাসার সুতোয় ধরি।

(০৫)
শুধু তোমাকে চাই
– বিচিত্র কুমার

তোমাকে চাই,শুধু তোমাকে চাই,
শয়নে স্বপনে জাগরণে শুধু তোমাকে চাই,
সুখে-দুখে জীবনে-মরণে শুধু তোমাকে চাই,
শুধু তোমাকে চাই,শুধু তোমাকে পাশে চাই।

সবুজ মাঠে তোমাকে চাই,
সোনালী বিকালে তোমাকে চাই,
খোলা আকাশে তোমাকে চাই,
মুক্ত বাতাসে তোমাকে চাই,
শুধু তোমাকে চাই,শুধু তোমাকে পাশে চাই।

জোছনা ভরা আকাশে তোমাকে চাই,
ফুল ভরা বাগানে তোমাকে চাই,
ঝিকিমিকি রৌদ্রে তোমাকে চাই,
চাঁদনী রাতে তোমাকে চাই,
শুধু তোমাকে চাই,শুধু তোমাকে পাশে চাই।

নদী যেমন করে মোহনা চায়,
মেঘ যেমন করে নীড় চায়,
চাঁদ যেমন করে চাঁদনীকে চায়,
দিন যেমন করে রাত্রিকে চায়,
আমিও ঠিক তেমনি করে শুধু তোমাকে চাই,
এ জীবনে শুধু তোমাকে পাশে চাই।

(০৬)
সলিড ভালোবাসা
– বিচিত্র কুমার

মনে মনে পুষেছি
ছোট্ট একটা আশা,
বুকের ভিতর জমা আসে
সলিড ভালোবাসা।

বাহির থেকে যায় না দেখা
অন্তরের সেই ব্যথা,
বুঝতে পারবে সেদিন তুমি,
যেদিন রাখবে আমার বুকে মাথা।

সেখানে,চোখ বুজিলেই দেখতে পাবে
তোমার নাম রংতুলিতে লেখা,
কেউ যুগযুগ ধরে দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের দেশে
তোমারই প্রতীক্ষায় একা।

চোখ খুললেই দেখবে তুমি,তোমার মুখেও
থাকবে না আর বলার কোন ভাষা,
জানি আমি, তোমার মনেও লুকিয়ে আছে
সলিড ভালোবাসা।

(০৭)
তোর প্রেমে পড়েছি
– বিচিত্র কুমার

যেদিন থেকে তোর ছবিটি
এঁকেছি আমার হৃদয় পাঁজরে,
সেদিন থেকেই হয়েছি আমি
রোমান্টিক হিরো রে।

বারবার দেখি যে মুখ
আয়নার দিকে চেয়ে,
কদিন আগে ছিলি তুই
অচিনা এক মেয়ে।

এখন কেন আর পারি না
তোর দিকে না চেয়ে,
বুকে ভিতর আগুন জ্বলে
যেন চিনচিনিয়ে।

ঘুম আসে না চোখের কোণে
দিন ফুরিয়ে যায়,
নির্ঘুম রাতে তোকে নিয়ে
কত না স্বপ্ন দেখে কাটায়।

দিবানিশি ছটফট করি
তোকে দেখার জন্য,
তোর ভালোবাসা পেলেই হবে
তবে আমার জীবন ধন্য।

(০৮)
সেই মেয়েটি

এই কলেজের সেই মেয়েটি
দেখতে লাগে ভালো,
দুষ্টু চোখের তার চাহনী
মনটা নিয়ে গেলো।

ছিপছিপে গা ফর্সা মেয়ে
পাগল করা হাসি,
মেয়ের ঠোঁটে গোলাপ মাখা
আমি যে ভালোবাসি।

মেয়ের সাথে ক্লাস রুমে
প্রথম হলো দেখা,
তার নয়নে নয়ন রেখে
স্বপ্ন হলো আঁকা।

অজানাতেই বাঁধুন দিলে
ভালোবাসার ঘর,
তোমার সাথে আমার দেখা
এই ক্লাসের পর।

স্বপ্ন তুমি স্মৃতি তুমি
তুমি প্রাণের আশা,
তোমার সাথে সখী আমার
এই জনমে দেখা।

(০৯)
সেদিন
– বিচিত্র কুমার

তোমাকে আমি শতশত প্রজাপতি মাঝে
সেদিন মুগ্ধনয়নে দেখছিলাম বারবার,
তুমি ডানামেলে উড়ছিলে ফুলে ফুলে
আমার দিকে ফিরেও চাওনি একবার।
হয়তো বা অন্য কেউ---
তোমার কল্পনার দ্বার।

কী যে দারুন লাগছিলো তোমায়
রেশমীচুরি আর হলুদ বর্ণ শাড়িতে,
আমার দু'চোখ ফিরাতে পারছিলাম না
যেন কোন এক অদ্ভুত মায়াতে।
অবশেষে পৃথিবীর বুক চিড়ে সন্ধ্যা নামল
এ সুন্দর প্রকৃতিতে আবার।

ফিরে এসে যখন নিশিতে চাঁদের দিকে তাকাছিলাম
তখন তোমার মায়াবী মুখটি বারবার প্রতিফলিত হচ্ছিল
আমি দু'চোখের পাতা কিছুতেই এক করতে পারছিলাম না
সেই দৃশ্যগুলো বুকের মধ্যে শুধু আনছান করছিল।
ইচ্ছে করছিল রঙতুলিতে তোমার ছবি
এ হৃদয়মাঝে আঁকতে বারবার।

(১০)
প্রথম প্রেমের স্মৃতি
– বিচিত্র কুমার

তোমাকে যত ভুলে যেতে চাই
ততো বেশি মনে পড়ে স্মৃতি,
আঁধারে জ্বলে ধিকধিক করে
জ্বলন্ত মোমের বাতি।

গলেগলে শেষ হয় সেই জ্বলন্ত প্রদীপ
তবু বুকে থাকে অবশিষ্ট অঞ্জলি,
সাদা কাপড়ে যেমন ওঠেনা
বারবার ধুয়েও রঙের কালি।

শতাব্দীর পর শতাব্দী আমি শতরূপে শতবার
গেঁথেছি প্রেমে নিত্যনতুন ফুলের মালা,
তবু মনে পড়ে তোমার কথা
নিশিতরাতে একলা বালা।

ঋতুর পর ঋতু যায়
জোযার ভাটা পথ হারায়,
তবু বসন্ত এসে মন রাঙায়
এখনো সেই কোকিল ঘুমভাঙ্গায়।

(১১)
যদি একবার ভালোবাসো তুমি
– বিচিত্র কুমার

যদি একবার ভালোবাসো তুমি
আমিও এ বুকে খাঁচায় শুধু তোমারই নাম লিখতাম,
যদি একবার ভালোবাসো তুমি
আমিও শাহজানের মতো ভালোবাসার তাজমহল গড়তাম।

যদি একবার ভালোবসো তুমি
আমিও বসন্তের কোকিলের মতো প্রেমের গান গাইতাম,
যদি একবার ভালোবাস তুমি
আমিও তোমাকে কতটা ভালোবাসি সেটা হুনমানের মতো এ বুক চিড়ে দেখাতাম।

যদি একবার ভালোবাসো তুমি
শয়নে স্বপনে জাগরণে শুধু আমি তোমাকেই ভাবতাম,
যদি একবার ভালোবাসো তুমি
গল্প উপন্যাস গান প্রেমকাব্য শুধু তোমাকেই নিয়ে লিখতাম।

যদি একবার ভালোবাসো তুমি
ঐ নীল আকাশের চাঁদ তোমায় এনে দিতাম,
যদি একবার ভালোবাসো তুমি
সীতা রামচন্দ্রের মতো সব ছেড়ে বনোবাসী হতাম।

যদি একবার ভালোবাসো তুমি
প্রতিটি মূহুর্তে শুধু তোমাকেই পবিত্র দৃষ্টিতে অনুভব করতাম,
যদি একবার ভালোবাসো তুমি
সব মৌসুমী ঝড় থেকে তোমাকে এ বুকের মধ্যে আগলিয়ে রাখতাম।

যদি একবার ভালোবাসো তুমি
আমরা দুজনও পাখির মতো নতুন ডালে বাসা বাঁধতাম,
যদি একবার ভালোবাসো তুমি
আমরাও রজকিনী চন্ডিদাসের মতো ভলোবেসে এ পৃথিবীতে অমর হতাম।

(১২)
প্রেমিকা

স্বপ্নপূরীর পার্কে রঙিন ঘিরাপান্তর ভিষণ নির্জন
চতুর্দিকে জোড়া জোড়া বুলবুলিরা কথা বলছিল;
তখন তুমি ছাতাচত্বরে বসে হৃদয় দিয়ে আমাকে মাপছিলে
আমার চোখে রঙিন স্বপ্ন দেখছিলে ছলবল।

পাখপাখালির কলকালরির মধ্যে-
হঠাৎ তুমি যেন বললে আদর করবে,
মুহূর্তেই আমি রাজি হলাম উতলা হাত্তয়াতে
তোমার অবাক করা ক্ষুদার্ত শরীরে---।

তোমার একাকিত্বতা আমার ঠোঁটের কাছে
চায়ের উষ্ণ চুমুকে চুমুকে;
তুমি আরও জড়িয়ে ধরলে বাঘীনির মতো
থেকে থেকে।

তোমার দীর্ঘলকালো চুলগুলো হাওয়াই উড়েউড়ে পড়ছিল :
আমার চোখে মুখের পর;
পলকে পলকে ঝলকে ঝলকে
দুজন বেঁধেছিলাম বালু দিয়ে ভালোবাসার ঘর।

পড়ন্ত বিকেল নামছিল আলোকচিত্র পৃথিবীর পর
হঠাৎ তুমি চলে গেলে আসি বলে পাখির মতো ঘর।

(১৩)
চাঁদনীর একান্নতম প্রেমিক আমি
-বিচিত্র কুমার

আমি প্রেমে পড়িনা বলে নীল আকাশের চাঁদনী প্রেম নিয়ে এলো
তারাভরা আকাশে বাঁকা চাঁদকে আহবান জানালো হাতছানি দিয়ে,
প্রেম যমুনার ঘটে হাবুডুবু খেয়ে ইচ্ছে নদীর তীরে দুজনার কথা হলো
রঙধনুর রঙে নীল আকাশ রাঙিয়ে ইচ্ছে ডানা মেলিয়ে।
তুৃমি মেহদী রাঙা হাত বাড়ালে মেঘের আড়ালে
আমিও কথা দিলাম অজান্তে একান্নতম সিরিয়ালে।

আর তুমি প্রজাপতি মতো ফুরফুর উড়লে মনের আকাশে
আমার কচিকাঁচা বুকের সবুজ ঘাসে,
তারপর প্রতীক্ষা আর প্রতীক্ষা শেষ নেই বাস্তব প্রেমে
আমি বিরহে সুরে কালো মেঘ সাজালাম মনের আকাশে।
একটা দুঃস্বপ্নে তুমি আমার হাত ছাড়ালে
জানিনা আবার কোনসে দেশে হারালে।

অতঃপর,
তুৃমি ফুটন্ত ফুলের মতো প্রতিদিন প্রেম নিয়ে আসো আকাশে
হলাহলের বিষ মিসাও উতলা বাতাসের পুষ্পতে,
আর আমি বারবার সেই ফুল তুলতে গিয়ে:
কাঁটার আঘাত পাই ভালোবাসার আশাতে।

(১৪)
একটা প্রেমের জন্য
– বিচিত্র কুমার

একটা প্রেমের জন্যে,
আমি কোটি কোটি বছর হাত বাড়িয়েছি ;
ফুলের কাছে প্রজাপ্রতির কাছে পাখির কাছে
চাঁদনির পিছে কতো ঘুরঘুর করেছি।
কেউ আমার সহজ সরল ভালোবাসা গ্রহণ করেনি
কেউ ছুটে এসে আমার হাত ধরেনি।

আমি যেন এক প্রেমের যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক
যে কখনো খুঁজে পায়নি তার স্বপ্নের ঠিকানা ;
সাতসমুদ্র তেরোনদী পারি দিয়ে এখনো একলা
প্রেমের পণ্ডিতেরা করে আমার সমালোচনা।
কেন নেই তার রঙের জগতে একটাও প্রেমিকা
এখনো কি ফুটেনি তার হৃদয়ে প্রেমের মল্লিকা?

একে একে চলে গেল ত্রিশ বসন্ত জোয়ার আর ভাটাতে
ছোটছোট ফুলকলিরা এখন জল ঢালে মাথাতে;
কেউ আর ফুলের মালা গাঁথতে চায়না মিষ্টি ভালোবাসাতে
আলো আর রঙিন জগৎ কিংবা আঁধারিতে।
ছোটছোট ছেলেপুলে দেখে দেখে মধু খায় তিলেতিলে
চিকিমিকি রৌদ্রে বসে-- চুমুতে চুমুতে।

এদিকে আমার মেঘলা আকাশটাই কাটে না --
যেন কিছুইতে কিছুইতে ;
হঠাৎ এক পরিচিত প্রেমদেবী চুপিচুপি বললো আমাকে,
তার পিছু ছুটতে ছুটতে।
রঙতুলিতে তার ছবি আঁকলাম হৃদয়ের মধ্যে প্রেমের পাখি ধরতে
নিত্যনতুন প্রেমে তার পিছে ছুটতে ছুটতে।

কবি পরিচিতিঃ
বিচিত্র কুমার ১৯৯১ সালের ১৫ ডিসেম্বর,বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলাধীন খিহালী পশ্চিম পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: বিপুল চন্দ্র কবিরাজ। মাতা: অদিতী রানী কবিরাজ। তিনি ২০০৮ সালে আলতাফনগর কে,এম,এ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি,২০১০ সালে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ,বগুড়া থেকে এইচ এস সি এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজ,বগুড়া থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে(অনার্স) ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী অর্জন করেন।
তার একক কাব্যগ্রন্থ: আমাদের দেশ (২০১৫ সালে প্রকাশিত)।
তার যৌথ কাব্যগ্রন্থ সমূহ : অমর কাব্য গাঁথা, একমুঠো আলো, শত কবির কবিতা, আঁধারে আলোর রেখা, লাঙল, রক্তাক্ত আগস্ট, কাব্যগাঁথা বিজয়, জীবনের যত কাব্য, সূর্যসিঁড়ি তৃতীয় সংকলন, কবিকোষ-২, সেতু(সিঙ্গাপুর), উদীয়মান কবি, কবিকোষ-৩, দীর্ঘশ্বাসের কাব্য,মায়াবতী,ছড়া কবিতায় একুশ ও যাতনার রঙ।
এছাড়াও তার লেখা ভারত,যুক্তরাষ্ট্র,ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়া,ফ্রান্স,কানাডা সিঙ্গাপুর সহ শতাধিক দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা,সাপ্তাহিক পত্রিকা,অনলাইন পত্রিকা,মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হয়।

নামঃ বিচিত্র কুমার
গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া
পোস্টঃ আলতাফনগর
থানাঃ দুপচাঁচিয়া
জেলাঃ বগুড়া
দেশঃ বাংলাদেশ
মোবাইলঃ 01739872753

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।