কয়েকটি হেমন্তের ছড়া
- বিচিত্র কুমার ২৯-০৪-২০২৪

(০১)
হেমন্তের নিমন্ত্রণ
-বিচিত্র কুমার

শিশির ঝরা সকালবেলা
ফিরলো যখন হেমন্ত,
রুপমাধুরীর নতুন ছোঁয়ায়
সাজলো আবার দিগন্ত।

মিষ্টিমধুর রোদের ছোঁয়ায়
আমন ধান পাকে,
সূর্যমামা দুপুরবেলা
মিষ্টি রৌদ্র মাখে।

সন্ধ্যাবেলা পথেঘাটে
হিম কুয়াশা উড়ে,
পাখপাখালি ডাক ছেড়ে
নিজের বাড়ি ফিরে।

ঘরে ঘরে পিঠার গন্ধে
হলাম আমি ধন্য,
এসো এসো বন্ধু সবাই
রইলো নিমন্ত্রণ।

(০২)
হেমন্তকে ডাকে
-বিচিত্র কুমার

শিশির ভেজা সকালবেলা
হেমন্তকে ডাকে?
মাঠে মাঠে সোনার ধান
ঝিলমিলিয়ে পাকে।

উড়ে উড়ে ফিরে আসে
হালকা কুয়াশা,
চোখ মেলিয়ে দেখতে পায়
একটু ধোঁয়াশা।

চলতে গিয়ে পথের ধারে
মিষ্টি একটা গন্ধ,
ধিরে ধিরে ফিরে আসে
শীতের ভীষণ ছন্দ।

সবুজ পাতার ছাউনি তলে
হেমন্তের বালা,
মিষ্টিমধুর রোদের ছোঁয়ায়
গাঁথে শিউলি মালা।

(০৩)
নবান্ন উৎসব
-বিচিত্র কুমার

ধান পেকেছে মাঠে মাঠে
শিশির হাসে ঘাসে,
নবান্ন উৎসব ফিরে আসে
অগ্রহায়ণ মাসে।

ধান কাটতে ব্যস্ত কিষাণ
কৃষক গায় গান,
কিষাণীরা মাড়াই করে
মুখে দিয়ে পান।

কী আনন্দ চোখে মুখে
নতুন ধানের ঘ্রাণ,
শূন্য গোলা ভরে উঠে
জুরাই মনোপ্রাণ।

হিমেল হাওয়া কুয়াশা ঢাকা
সাপ পুতুলের খেলা,
কোথাও কোথাও আবার বসে
নবান্নের মেলা।

(০৪)
কৃষকের হাসি
-বিচিত্র কুমার

ধান পেকেছে ধান পেকেছে
ধানশালিকের দেশে,
গাঁয়ের কৃষক মুচকি হাসে
যাচ্ছে পিছে হেঁটে।

আঁকাবাঁকা মেঠোপথে
ছুটছে গরুর গাড়ি,
রাশি রাশি ধান নিয়ে
চলছে গাঁয়ের বাড়ি।

কৃষক মুখে খুশির হাসি
পেয়ে সোনা ধান,
পথের পানে চেয়ে কৃষাণী
জুড়ায় মনোপ্রাণ।

উড়ান তীরে পাড়া গাঁয়ে
ধান মলনের ধুম,
শূন্য গোলাই ধান তুলতে
নেই কৃষকের ঘুম।

(০৫)
হেমন্তে
-বিচিত্র কুমার

কার্তিক আর অগ্রহায়ণে
হেমন্ত ঋতু আসে,
মাঠে মাঠে সোনার ধান
ঝলমলিয়ে হাসে।

কাস্তে হাতে মনের সুখে
কৃষক যায় মাঠে,
ক্ষেতে ক্ষেতে সারাদিন
পাকা ধান কাটে।

সুখ পাখিরা উঁকি মারে
পাকা ধানের ঘ্রাণে,
ধান আনিতে ব্যস্ত কৃষক
কতো আনন্দে প্রাণে।

নামঃ বিচিত্র কুমার
গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া
পোস্টঃ আলতাফনগর
থানাঃ দুপচাঁচিয়া
জেলাঃ বগুড়া
দেশঃ বাংলাদেশ
মোবাইলঃ 01739872753
https://www.facebook.com/profile.php?id=100014642137028&mibextid=ZbWKwL

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।