আসমা অধরা
আমার ভালো লাগে খুব সমূদ্র । সে অসম্ভব ভালো লাগা।
অশেষ তার জীবনীশক্তি । দুরন্ত তার যৌবন । অলৌকিক
শক্তিতে ভর করে উদ্ভিন্ন যৌবনা হয়ে, প্রতিনিয়ত গর্জন করে চলে ,
গুমরে গুমরে বেড়ায় মিলন তৃষ্ণায় ,মাঝে মাঝে ফিসফাস করে কথা
বলে আর কানামাছি খেলে সারাবেলা বাতাসের সঙ্গে ,যেন
মন্থনে মন্থনে মথিত হবার জন্য ডাকে প্রচন্ড বেগে ধেয়ে
আসবার জন্য, উত্তাল হয়ে ওঠে তৃষিতের মতো ।
আরেক ভালোলাগা হলো অধরা, চাঁদ ।নির্দ্বিধায়
আলো দিয়ে যায় ধরায় ,ব্যকুল তৃষ্ণায় তাকিয়ে থাকে,
প্রতিটি ঢেউয়ের সাথে লুকোচুরি খেলায় মেতে ওঠে , তার নিজস্ব
যৌবনসূধা থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে ফেলতে থাকে প্রতি ফোঁটা জোছনা
সাগরের এক বুক তৃষ্ণা মেটানোর জন্য , দুজনে মিলে এক অদ্ভুত
মিলনখেলায় মতে ওঠে। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি ।
সমূদ্র আর চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়েই আমার আরেক
ভালোলাগা হল বালিয়াড়ী, সাগর বেলা ;
সমূদ্র যখন জোছনার সাথে মেতে ওঠে লুকোচুরি খেলায়,
জাগিয়ে তোলে নিজেকে , তখন খলবলিয়ে হাসে চাঁদ
আর ছলছল নাচে দুরন্ত ঢেউ ,তখন তাদের অনন্ত মিলনের
সাক্ষী হয়ে থাকে নিশ্চুপ তীর সেই বালিয়াড়ী ;
আমার স্বপ্নাচ্ছন্ন কাজল কালো দুটি চোখে, দুরন্ত জোছনা আর সাগরের
সঙ্গমের সাক্ষী হয়ে থাকে অনন্ত যৌবনা সেই চাঁদের আলোয় মাখামাখি হয়ে,
পায়ের কাছে এসে এক একটা ভেঙ্গে যাওয়া ঢেউয়ের মুগ্ধতায় আর ক্রমশঃ
বাড়ন্ত রাতের তীব্র সৌন্দর্যে নির্বাক হয়ে,তেমনি পিপাসার্ত দুচোখ ঝাপসা
হয়ে আসা নোনাজলে ভাসিয়ে দিয়ে,বিবশ কৌতুহলে চেয়ে থাকা আর
পৃথিবীর সব জীর্ন ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাবার অদম্য অপেক্ষায় রত , আমি !
ধরায় পড়ে থাকা এক জীর্ণ অধরা ! যার ভালোলাগার পরিধী শুধুই এতোটুকু ।
আজ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে আসমা অধরা ২০২টি কবিতা প্রকাশ করেছেন।
আজ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে আসমা অধরা ২০২টি কবিতা প্রকাশ করেছেন।