প্রথম ব্লুফিল্ম দেখা/অরুণিমা মন্ডল
- অরুণিমা ০৫-০৫-২০২৪

প্রথম ব্লুফিল্ম দেখা/অরুণিমা মন্ডল

আমি নারীবাদী নই/আবার নারীবিদ্বেষী ও নই/ আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যাদের উপর অত্যাচার হয় তাঁরাই বুঝবে যন্ত্রণাটা/

সমাজ নারী ও পুরুষ নিয়ে গঠিত/ এককথায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাস করি / এই সমাজে মেয়েদের ঢেকে রাখা নিয়ম/ মেয়েদের আমরা একটু বেশী রক্ষনশীল হয়ে উঠি/ মাসিকের পর থেকেই এক একটা মেয়েকে পরিবারের লোকেরা প্রায় নজরে নজরেই রাখে কিন্তু কথায় আছে না শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায় /

সেক্স” র সংজ্ঞা যদি বদলে দেওয়া যেত তাহলে হয়তো মেয়েদের জীবন অনেকটাই সহজ সরল হয়ে উঠত/ সেক্স কিন্তু শুধু মেয়েরা করে না ছেলেরা করে কিন্তু অপরাধ” “কলঙ্ক মেয়েটার ঘাড়ে এসে পড়ে।

একটা মেয়ে বড় হল। অনেক স্বপ্ন! এই সমাজে আবার মেয়েদের স্বপ্ন! যেন মনে হয় মেয়েরা বাচ্চা জন্মানোর জন্যই পৃথিবীতে জন্মেছে–তাঁদের স্বাদ আহ্লাদ বলে কি কিছুই থাকতে নেই! সে যাই হোক নীপার প্রথম ব্লু ফিল্ম দেখার চরম অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছি!

আমরা মানি আর না মানি সবাই কমবেশী ব্লু ফিল্ম দেখি । অনেকে স্বভাবে আবার অনেকে অভাবে।

নীপা সবে ১৮। বান্ধবীদের নিয়ে আর স্কুলের পড়া ভালোই কাটছিল তাঁর সময়টুকু। এক কিশোরী র জীবনে যতটুকু ভালোবাসা পাওয়ার দরকার সব ই পাচ্ছিল । তাঁর ভালো লাগত গান সিনেমা আর সিনেমার রোমান্টিক সিন দেখতে। তখনো তাঁর সেক্স” বিষয়ে ধারনা ছিল না/ সে ভাবত কোন ছেলের কাছে বসলে বা হাত ধরলেই মনে হয় সেক্স” /তাই সে দূরে দূরে থাকত/ ছেলে দেখলেই ঘরে চলে যেত / ছেলেদের সংস্পর্শে বেশী থাকত না তবে ছেলেদের রোমান্টিক চাউনিতে প্রেমে ও পড়েছে কয়েকবার কিন্তু গা ঘেঁষতে দিত না/ একবার মোবাইল টিপতে টিপতে ব্লু ফিল্ম একটুখানি দেখে কেমন ঘেন্না লাগল তারপর তাঁর প্রাণের বান্ধবী পিয়াকে বলল ব্যাপারটা পিয়া অনেকটাই আ্যডভান্স তাই ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিল/ তবুও ওইরকম দৃশ্য হঠাৎ দেখে দুরাত ঘুম হল না /

নিপা পিয়া রিয়া তিনজন ঠিক করল ব্লু ফিল্ম দেখবে । বাড়িতে না বলে সন্ধ্যের শো টা দেখবে কেউ জানবে না বড় বড় ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে রাখবে আর কোনরকম দেখে চলে আসবে ।

রীতিমতো রেডি তাঁরা । জীবনের প্রথম ব্লু ফিল্ম দেখা বলে কথা। খুব একটা সাজগোজ করল না টিকিট কেটে হলে /তাঁদের জেদ হল ছেলেরা দেখতে পারে ব্লু ফিল্ম আর মেয়েরা কেন নয় /

সিটে বসল তিনজন। দেখল কিছুক্ষন পর দশ এগারো ছেলে মদ খেয়ে চিৎকার করতে করতে ঢুকছে/চোখ লাল /হাতে সিগারেট/ এতগুলো ছেলে সন্ধ্যে পেরিয়ে গেছে কোন মেয়ে কি করে বাড়ি ফিরবে সেই চিন্তায় তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়ল।

ছেলেগুলো ব্লু ফিল্মের উত্তেজনায় এতো মেতে ছিল যে মেয়েদের লক্ষ্য করেনি /তাঁরাও ভয়ে চেয়ারের নীচে এককোণে লুকিয়ে পড়ল।

ছেলেদের সেই অসম্ভব তান্ডব দৃশ্য দেখলে যে কেউ অজ্ঞান হয়ে যাবেন? মেয়েদের সেখানে পেলে যে কি অবস্থা হত সে ভগবান জানেন? গণধর্ষন তো হতোই কতবার যে গণধর্ষন হতে হতো তাঁদের তা মাপের বাইরে?

মেয়েগুলো বিভৎস দৃশ্য চোখে কোনদিন দেখবে কল্পনাই করতে পারেনি/না পারছে পালিয়ে যেতে না পারছে কাঁদতে চিৎকার করতে/

উদ্ভট চিৎকার আর ছেলেগুলোর এমন উত্তজনা সব খুলে তাঁরা একে অপরের উপর ! সে চরম ভয়ঙ্কর দৃশ্য চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না!

সিনেমা হলকেই যেন তাঁরা ধর্ষন করছে! সেক্সের সিনগুলো দেখে এতো চিৎকার করছে মনে হচ্ছে নিজেদেরকে মেরে ফেলবে ! প্রায় অনেকক্ষন মুখে কাপড় ঢেকে এই নরক যন্ত্রণা সহ্য করল / তারপর ছেলেরা জামাকাপড় পরে বেরোতে আমরা দে ছুট!

কারো জীবনে এরকম ঘটনা যেন না হয় /ভাগ্যের পরিহাসে ছেলেরা দেখতে পায়নি!
ব্লু ফিল্মের সেই ফার্স্ট প্র্যাকটিক্যাল সিন!
কাকদ্বীপ
অরুনিমা মন্ডল দাস

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Arunima
১১-০৩-২০২০ ২৩:১৭ মিঃ

Ei lekhati delete plss ....onno site e post korte gea ....ekhane