মায়া মাধব
গল্পের শেষটা যেখানে হয়েছিল শুরুটা ঠিক সেখান থেকে না করে একটু পিছনে যদি ফিরে যাই তাহলে দেখব গল্পটা আসলে জোর করেই শেষ করে দেয়া হয়েছিল কেননা গল্পে জীবনের কোন উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গল্পে সময় নষ্টের একটা ধারা বজায় ছিল অনেকটা ক্ষণ ধরে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা ছিল সবসময় শুধু বৃষ্টিটা ঝরল একটু দেরী করে। সেই বৃষ্টিতে কোন মধুরতা খুঁজে পাই নি। বরং ছিল একটা ফাঁপা অন্ধকার। জীবনে হরেক মানুষ দেখেছি, সবাই বাইরে দিয়ে আলাদা হলেও ভিতরটা কেন যেন একই রঙে আঁকা। তারপরেও দু একজন একটু বেশী স্পর্শ করে যায় সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। আর তাই হয়ত সীমানার ওপারে থেকেও কেউ ঘণ্টা বাজায় মনের দুয়ারে আর মাইল খানেক দূরত্বের কেউ হারিয়ে যায় অতি ধীরে খুব সহজে। সবকিছুর ভিড়েই একটা কাঙালীপনা ছিল, যদি বলি এইটা শুধু মাধবের মাঝেই ছিল তা ভুল হবে বরং এই কাঙালীপনা সবার মাঝেই বিরাজমান। আর সেজন্যই হয়ত শিশু বয়সের ঐ আবেগটুকু এখনো মাধবকে আনন্দিত করে, এরপর রৌদ্র্রস্নাত দুপুরে কৈশরের শেষলগ্নে একটি উজ্জল মুখ তাহাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়, অথবা একজন বন্ধুর মাঝে একটু আলোর ছোঁয়া খুঁজে পাওয়ার আকুলতা যেন মরুভূমির মরিচীকায় তৃষ্ণার্ত পথিকের পানির জন্য আকুলতারই সমান হয়ে ধরা পড়ে। জীবনে প্রতিটা কঙ্কালকেই অপেক্ষা করতে হয়, মাধব ও ব্যতিক্রম নয়। সেজন্যই নতুন করে শুরু করা গল্পটি আরো কিছু সময় চলবে..................
আজ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে মায়া মাধব ২টি কবিতা প্রকাশ করেছেন।
আজ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে মায়া মাধব ২টি কবিতা প্রকাশ করেছেন।