মীর মামুন হোসেন
কবি ১৯৮০ সালে ২৭ মে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার মালিহাদ ইউনিয়নে আবুরী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার, মিয়াবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। । দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। পিতা মীর মুছাদ্দেক হোসেন একজন সমাজ হিতৈষী নির্মোহ রাজনীতিবীদ আজীবন নম্রতার এক মূর্ত প্রতীক। মাতা ওয়াহেদা খানম বুলবুলি, গৃহীনি। ১৯৯৭ সালে কবি আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরিক্ষার উত্তীর্ন হন। ২০০১ সালে চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়ন সংস্থার আওতাধীন। গোল্ড ষ্টার কম্পিউটার থেকে ডিপ্লোমা ইন অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স সফলতার সহিত সম্পন্ন করেন। ২০০৪ সালে ব্যুরো অফ ম্যানপাউয়ার এমপ্লয়মেন্ট থেকে ডিপ্লোমা ইন হার্ডওয়ার ও নেটওয়ার্ক (টেড কোর্স) সম্পন্ন করেন। ২০০৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাশ করেন। ২০০৪ সালে এ্যাকুয়া রিসোর্সেস কোম্পানী শিরোমনি, খুলনাতে এমআইএস অফিসার হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০১২ সালে কবি বাংলাদেশে ক্ষুদ্র স্বাস্থ্য বীমা ধারণার প্রবর্তক প্রফেসর ড. সৈয়দ মইনুল আহসান স্যার এর সাথে ক্ষুদ্র স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে ইন্সটিটিউট অফ মাইক্রো-ফাইন্যান্সের সাথে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালে প্রফেসর ড. সৈয়দ মইনুল আহসান স্যারের নিরাময় ক্ষুদ্র স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প গ্রীন ডেলটা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর হয়ে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজে চাকুরী করেন। ২০১৫ সালে পাড়িজমান মরুর দেশ কুয়েতে। গ্রাম্য পরিবেশ, কাদামাটির রাস্তা, রাত্রি বেলা শিয়ালের হাক ডাক, হারিকেনের মৃদু আলো। পাঙ্গাশী নদীর জলকেলি খেলা আপন মাটি, মায়ের মত আপন গ্রামে কেটেছে কবির শৈশব কৈশোর। প্রকৃতি ও প্রেম তার কাব্যে অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। তরুণ হৃদয়ের অব্যক্ত আবেগ কবি তার কবিতায় বাণীবদ্ধ করছেন। যা সার্বজনীন আবেগের বহিঃপ্রকাশরূপে মূর্ত হয়েছে । স্মৃতিময় অতীত, প্রেম ও বিরহ বিচ্ছেদ চেতনাসমৃদ্ধ কবিতা ধারন করেন কবি কার লেখনিতে। ছাত্র জীবন থেকে তিনি কাব্যচর্চা শুরু করেন। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান উপাদান নাটক। জীবনের আনন্দ-বেদনা, দ্রোহ-ক্ষোভ-আশা-আকাঙ্খা সার্থক রূপায়নের অন্যতম মাধ্যম মঞ্চনাটক। সমাজ-জীবনের প্রতিবিম্ব নাটক। সমাজ বদলের হাতিয়ার, চেতনার বহ্নিশিখা প্রজ্বলনে গঠন করেন অগ্রগামী নাট্য গোষ্ঠী। ২০০০ সালে তার রচনা নির্দেশনায় মঞ্চনাটক "কাটেনি অাঁধার" তার নিজ গ্রাম আবুরীতে মঞ্চায়িত হয়। নাটকটির গল্প এবং অভিনয় শিল্পীদের অভিনয় দশ গ্রামে হৈ চৈ পড়ে যায়। এ্যাকুয়া রিসোর্সেস কোম্পানী শিরোমনি, খুলনাই চাকুরী কালিন সময়ে সুরকার, গীতিকার, কন্ঠশিল্পী সাংস্কৃতিক সংগঠক, উদীচী দৌলতপুর, খুলনা সংসদের সাধারণ সম্পাদক আশিষ কুমার গোলদারের সাথে পরিচয়ের মধ্য দিয়ে উদীচীর সাথে কবির সক্ষতা গড়ে উঠে। ২০০৬ সালে উদীচী সংগঠক হিসাবে তিনি কাজ শুরু করেন। উদীচীর জন্য লিখতে শুরু করেন গণ জাগরণী গান। মীর মামুন হোসেনের বড় গুণ, তা হলো সময়কে ধরতে পারা। সময়োপযোগী গান লিখে কবি গীতিকার হিসাবে বেশ সুনাম অর্জন করেন। সেই থেকে কবি গান লেখার প্রতি মনোনিবেশ করেন। ২০০৭ সালে এম আলির সুরে এফ এ সুমনের সঙ্গীত আয়োজনে আমিরুল মোমিনীন মানিকের কন্ঠে "নদে এলো বান" শিরোনামে একটি গান বানিজ্যিক ভাবে প্রথম প্রকাশ পায়। দ্বিতীয় গান "ভব দরীয়া" এফ এ সুমনের সঙ্গীত আয়োজনে এম আলীর সুরও কন্ঠে ব্যাপক ভাবে সফলতা অর্জন করে। মীর মামুন হোসেন গল্প, ছোট গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতা সহ তিনি নিয়মিত গানের কবিতা লিখে চলেছেন। তার লেখা গানে কন্ঠ দিয়েছন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী আলম আরা মিনু, বেলাল খান, কাজী শুভ, রাফাত, মোহনা, মুহিন খান নুসরাত জাহান বৃষ্টি, বিন্দিয়া, নির্ঝর, আয়েশা মৈাসুমী, জি এম রহমান রনি, রেশমা সুইটি ও এস কে সামীর সহ অনেকেই। ইতিমধ্যে গানের শব্দ গাঁথুনী আর ছন্দ মাধুর্য্য কবি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
আজ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে মীর মামুন হোসেন ৭টি কবিতা প্রকাশ করেছেন।
আজ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে মীর মামুন হোসেন ৭টি কবিতা প্রকাশ করেছেন।
কবিতা | পঠিত | মন্তব্য |
---|---|---|
একতরফা ভালোবাসা | ২৭৯ বার | ০ টি |
রাম চন্দ্র | ১০৪ বার | ০ টি |
বেহুদা কারবার | ৮২ বার | ০ টি |
রজত জয়ন্তী | ৯৫ বার | ০ টি |
চাঁদ বুড়ি | ৩২৫ বার | ১ টি |
রাখবো রোজা | ৪৮৪ বার | ১ টি |
স্বপ্ন দেখি সোনালী দিনের | ৪২৩ বার | ১ টি |